মানবপাচারের সিন্ডিকেট চালাতেন অমি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ০৫:০৪ পিএম

অমির মানবপাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

অমির মানবপাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে মো. তুহিন সিদ্দিকি অমি ও তার সহযোগীরা শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানবপাচার করে তারা আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েই বিলাসী জীবনযাপন করে আসছিলেন অমি ও তার সহযোগীরা।

শনিবার (১৯ জুন) ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মানবপাচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় সিআইডি এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে মালিবাগের সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের হোতা মো. তুহিন সিদ্দিকি অমি।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, অমির ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা মানুষকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আসছিল। কিন্তু তারা ভিকটিমদের চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এছাড়াও তারা অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

তিনি বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে এখন তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সিআইডির তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিদের অধিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদলতে নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh