নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ০২:১৯ পিএম
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন বিক্রমপুরের বাড়ৈখালীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার শিক্ষা জীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা, ঢাকা ও যুক্তরাজ্যে।
ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৫০ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগোরিস হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ইন্টারমিডিয়েটে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। ১৯৫৬ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর নিজ এলাকা মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। এসময় জগন্নাথ কলেজেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন এ শিক্ষাবিদ। পরের বছর ১৯৫৭ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং লেজিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি মাসিক পরিক্রমা (১৯৬০-৬২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (১৯৭২), ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র (১৯৮৪) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক তো বটেই, তিনি একাধারে সংস্কৃতি সমালোচক, সমাজ বিশ্লেষক, রাজনীতি বিশ্লেষক, ইতিহাসবেত্তা, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, কলামিস্ট, সম্পাদক, অ্যাকটিভিস্ট, সংগঠক। এমনকি তিনি কিশোরদের জন্য গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন বিস্তর। তাদের জন্য বিদেশি সাহিত্য থেকে অনুবাদও করেছেন। তার বইয়ের সংখ্যা একশত। এ ছাড়া রয়েছে তার অসংখ্য অসংকলিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-রচনা। অধ্যাপকের পদ থেকে অবসর নেয়ার পর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’ সম্পাদনা করছেন। অর্থাৎ প্রায় সারা জীবন তিনি ক্লান্তিহীনভাবে লিখে চলেছেন। অপ্রতিরোধ্য লেখনীশক্তি তার তারুণ্যকে চিহ্নিত করে রেখেছে তার ৮৫ বছর বয়সেও।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনে অবিচল। তার বিভিন্ন লেখায় সমাজ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে এসেছে। তার সুখপাঠ্য রচনাগুলোতে আরও উঠে এসেছে গভীর দার্শনিকতা ও ইতিহাস চেতনা।
তিনি একুশে পদকসহ লেখক সংঘ পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।