মামলার বাদীর পরিচয় নিশ্চিতে হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২১, ০২:৩৫ পিএম

হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

ভুয়া পরোয়ানা, মামলায় হয়রানি বন্ধে থানা, আদালত বা ট্রাইব্যুনালে এজাহার বা অভিযোগ দায়ের করার সময় অভিযোগকারীর পরিচয় যথাযথভাবে নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৪ জুন এ আদেশ দেন। 

পূর্ণাঙ্গ আদেশটি গতকাল বুধবার (২৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

পাঁচ দফা নির্দেশনা

১. অভিযোগ/এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, ক্ষেত্রমতে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

২. এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে এজাহারকারীকে শনাক্তকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

৩. বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর সহজলভ্য না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বীয় বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।

৪. আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন।

৫. অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাথে ছিলেন আইনজীবী এমাদাদুল হক বসির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি অরবিন্দ কুমার রায় ও জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিট আবেদনটি করেছিলেন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচার, এসিড নিক্ষেপসহ নানা অভিযোগে দেশের ১৩ জেলায় করা ৪৯টি মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন। এসব মামলায় একরামুলকে ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করতে হয়। এ অবস্থায় ওই সব মামলা ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে মামলা দায়েরে সম্পৃক্ত বা বাদীকে খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ জুন হাইকোর্টে রিট করেন ৫৫ বছর বয়সী একরামুল। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ জুন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারীর (একরামুল) বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ওই সব মামলা দায়ের জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সাথে মামলা বা অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে বাদীর পরিচয় নিশ্চিতে কয়েক দফা নির্দেশনা দেন আদালত।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh