সাফওয়ানা জাবীন
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ০৬:২৬ পিএম
ফলের বীজ
এখন চলছে ফলের মৌসুম। আম, লিচু, কাঁঠালসহ নানা রকমের ফল। ফলের বীজ সংরক্ষণে রাখা উচিত। বীজ কখনোই ফেলনার নয়, কারণ এগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধী গুণাগুণ। তেমন কয়েকটি ফলের বীজ নিয়ে আমাদের আয়োজন।
ডালিম/আনারের বীজ : ডালিম বা আনার এই ফলটি খেতে বেশির ভাগ মানুষই পছন্দ করে। আর এ ফলের রয়েছে অনেক গুণ। আনার হৃদরোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর বীজে কোনো ক্যালরি নেই। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, যা শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল : ফলের রাজা কাঁঠাল। এ ফল স্বাদে ও গুণে অনন্য। গরম পড়লেই ফলের বাজারে আমের পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ এই ফল। কাঁঠাল খেলেও বীজগুলো বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দিই আমরা। কাঁঠালের বীজে রয়েছে থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন নামে দুটি উপাদান, যা দেহে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা জিঙ্ক, আয়রন, তামা, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ত্বককে সুন্দর করে তোলে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন। দুধ আর মধুর সঙ্গে কাঁঠাল বীজের বাটা মিশিয়ে মুখে ও ত্বকে লাগাতে পারেন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক ঝকঝকে হবে। হজম ক্ষমতা উন্নত করে বদহজম রোধে খুবই কার্যকর কাঁঠালের বীজ। এই বীজ খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর হয়।
আমের বীজ : খুশকির সমস্যায় আমের আঁটি খুব উপকারী। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। অথবা জলের সঙ্গে মাথায় ঘষুণ। এতে খুশকি কমে। আম খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়; কিন্তু আমের বীজ খেলে তার প্রতিক্রিয়া পুরো ভিন্ন হয়। আমের বীজ খেলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে আমের বীজের নির্যাস খেতে পারেন। কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও আমের বীজ খুবই কার্যকর।
তরমুজের বীজ : তরমুজের বীজে এমন এক রাসায়নিক থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া তরমুজের বীজে থাকা একাধিক খনিজ গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ উপকারী। তরমুজের বীজে থাকা লাইসিন নামে উৎসেচক ডায়াবেটিস বা মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে চমকে দেওয়ার মতো ফল দিতে পারে তরমুজের এই বীজ।