ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি আজ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ১০:৫৩ এএম | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১, ১১:৩৫ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি আজ বৃহস্পতিবার। ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই ভূখণ্ডের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। পূর্ববঙ্গের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্জনগুলোর পেছনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

দেশভাগের পর ১৯৪৮ থেকে ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সূতিকাগারের মতো ভূমিকা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। শুরুর দিকে জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান ও সামাজিক গবেষণা, পাঠদানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অগ্রণী। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিকদের বড় অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, পড়িয়েছেন। 

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে  পালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে স্বশরীরে কোনো অনুষ্ঠান হবে না বলে গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

তবে বিশেষ এই দিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এক বাণীতে উপাচার্য বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশ সেবায় রেখেছে অনন্য অবদান। দেশের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ ও চিরকৃতজ্ঞ চিত্তই এগিয়ে চলার পাথেয়।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্তার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিনদিন আগে ভাইসরয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওই বছরের ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ব্যারিস্টার আর নাথানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভা পাস করে দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই।

প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। 

এই শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেবড় বেড়েছে। এখন ঢাবিতে বিভাগ ৮৪টি এবং ইনস্টিটিউট ১৩টি। শিক্ষক হাজার ৯৯২ জন ও শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ১৮ জন। ৫৬টি গবেষণাকেন্দ্র হয়েছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুল মতিন চৌধুরী, পদার্থবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, কবি বুদ্ধদেব বসু, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, লেখক জাফর ইকবাল, ইসলামী চিন্তাবিদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বায়ত্তশাসন লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসবিদদের মতে, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও একটা রাজনৈতিক দিক ছিল। তারা মনে করেন, বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ১৯০৫ সালে পূর্ববাংলা ও আসামকে নিয়ে একটি আলাদা প্রদেশ গঠন করা হয়েছিল, সেই বঙ্গভঙ্গ বাতিল করার রাজকীয় ক্ষতিপূরণ হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ও পরে পাকিস্তানের শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, সেই ঐতিহাসিক কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আলোচনা করা হলে শিক্ষা বা গবেষণার বিষয়ের তুলনায় রাজনৈতিক ভূমিকাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

লেখক ও গবেষক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ব্রিটিশ ও পরে পাকিস্তান আমলে এই অঞ্চলের মানুষ যে পিছিয়ে ছিল, সেই অসামঞ্জস্য দূর করার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ঔপনিবেশিক শাসনের শেষদিকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর এদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়েছে। তখন এই অঞ্চল পাশ্চাৎপদ ছিল। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে।

পাকিস্তানবিরোধী ও সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম, যেটা পরে ঢাকায় পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হলো। তারপর ২৫ বছরের আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হলো। এই ঐতিহাসিক পরিস্থিতির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ভূমিকা রেখেছে, সেটা হলো, একদল উচ্চশিক্ষিত মানুষ তৈরি করেছে। তারা ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে ভূমিকা রেখেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক প্রয়োজনে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চা হয়েছে, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের চর্চা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সমিতি, ছাত্রসংসদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গঠনমূলক কাজে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে এখন যে ছাত্রসংসদ নেই, সেটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূর্ণতা। এটি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক থাকবে, সাংস্কৃতিক চর্চা হবে। কিন্তু এখন যেন এই কাজগুলো সেভাবে হচ্ছে না। 

এই শিক্ষাবিদ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনতে হবে। তারা শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণা করবেন, প্রকাশনা করবেন।

১০০ বছর আগে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে, সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিলেন ৮৪৭ জন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ছিলেন একজন, লীলা নাগ। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করতে ভর্তি হয়েছিলেন, ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন।

এরপর তিনি নারীশিক্ষা প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সানজিদা আখতার মনে করেন, এ অঞ্চলে নারীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কেননা উচ্চশিক্ষা লাভ করে প্রায় প্রতিটি ছাত্রী, বিশেষ করে শুরুর দিককার ছাত্রীরা, সমাজে একেকজন নারীশিক্ষার রোল-মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের দেখে আরো মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন, তারা নিজেরাও সমাজে নারীশিক্ষা বিস্তারে কাজ করেছেন।

শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজের এলিট পরিবারের বা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত পরিবারের মেয়েরা পড়তে আসতেন। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরা পড়তে আসতেন না।

সৈয়দ আবুল মকসুদ তার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ বইয়ে লিখেছেন, শুরুর দিকে মুসলমান মেয়েদের উপস্থিতি খুবই সীমিত ছিল। মুসলমান সমাজে পর্দার কড়াকড়ি অপেক্ষাকৃত বেশি থাকায়, ঘরের বাইরের কাজকর্মে মুসলমান মেয়েদের বিশেষ পাওয়া যেত না।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই বাংলার বাঙালি নারীর জীবনের দরজা খুলে দিয়েছিল বলে লিখেছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী ফজিলতুন নেসা ১৯২৫ সালে গণিত বিভাগে এমএসসিতে ভর্তি হন। ১৯২৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান দখল করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ফিরে এসে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ইডেন কলেজে বিজ্ঞান ও বাণিজ্যশিক্ষা বিভাগ খোলা, এবং ইডেন কলেজকে স্নাতক পর্যায়ে উন্নীত করাসহ নারীর উচ্চশিক্ষা বিষয়ক অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির মূল অনুষ্ঠান আজ হচ্ছে না। আগামী ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আজ সীমিত পরিসরে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচি পালিত হবে। অনলাইন প্রতীকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে  ওইদিন বিকেল ৪টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল বক্তা হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন  ভাষাসৈনিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ : ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করবেন। 

ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ফেসবুক লিংক https://www.facebook.com/ICTCellDU

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh