নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০১:২২ পিএম
কল্যাণপুরে সড়কে পুলিশের তৎপরতা। ছবি : সাম্প্রতিক দেশকাল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাতদিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই)। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় মোহাম্মদপুর, রমনা ও শাহবাগ এলাকা থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাতদিনের এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। গতকাল বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট ২১টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
রমনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করায়’ সকালে রমনা থানার সুগন্ধা মোড় থেকে দুইজন ও শাহবাগ মোড় থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, পান্থপথসহ বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। এসব রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ছিল। পুলিশের গাড়িও টহল দিচ্ছে।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মাহিন ফারাজী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরার অভিযোগে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে রায়েরবাজার থেকে সাতজন ও তিন রাস্তার মোড় থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিভিন্ন সড়কের মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। রিকশার আরোহীদের বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।
বারডেম হাসপাতালের সামনে চেকপোস্টে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, সকাল থেকে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত যাদেরকে পেয়েছি অধিকাংশই প্রয়োজনে বের হয়েছেন। কেউ চিকিৎসার জন্য বের হয়েছেন, কেউ বিদেশ যাবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ গতকাল বুধবার (৩০ জুন) সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিধি-নিষেধ ভেঙে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে মামলা দেয়া হবে এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলাসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত ও মৃতের হার প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় এই সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেয়া হয়। এবারের লকডাউন নিশ্চিত করতে বেশ কড়া অবস্থানে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।