১০০ বছরেও বদলায়নি সাঁকো

তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০৩:২৯ পিএম

পেকুয়া উপজেলার সাঁকো

পেকুয়া উপজেলার সাঁকো

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ও টৈটং ইউনিয়নের খালের মাঝে রয়েছে একটি সাঁকো। এই সাঁকোর বয়স একশ বছর। যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়রা রাজাখালী খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন; কিন্তু প্রশাসন থেকে আজ পর্যন্ত সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

স্থানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল বসর জানিয়েছেন, খালের এপার-ওপারে আমরা দুই হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করে আসছি। বর্ষায় এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক। এপারে কবরস্থান থাকায় ওপারে কেউ মারা গেলে খালের ওপর খাটিয়া ভাসিয়ে কবরস্থানে নিতে হয়। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে প্রায় একশ বছর ধরে এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই। 

স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ কবির জানান, এ সাঁকো নিয়ে যন্ত্রণায় আছি। কোনো অসুস্থ রোগীকে নিয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে খুব সমস্যা হয়। বর্ষা এলে চরম খারাপ অবস্থায় পড়তে হয়। 

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে নানা আশ্বাস দিলেও পরে তা আর কার্যকর হয় না। এভাবে নেতৃত্ব যায় আসে। পাল্টেছে অনেক কিছু; কিন্তু পাল্টে না এ সাঁকো। 

টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোটের আগে আমরা দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি সেতু নিমাণের; কিন্তু স্বাদ থাকলেও সাধ্যের অভাবে এ স্থানে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বারবার এমপি জাফরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কয়েক দফায় সাঁকোস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাজাখালী খালের ওপর হাজিপাড়া নামক এ স্থানে সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন এখন দেখা যাক। 

সেতু নির্মানর প্রসঙ্গে একই কথা বলেন রাজাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর। তিনিও স্থানীয় সংসদের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের আহ্বান জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh