কোভোভ্যাক্স নিয়ে বড় ধাক্কা সেরাম ইনস্টিটিউটের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০৩:৪০ পিএম

টিকা। প্রতীকী ছবি

টিকা। প্রতীকী ছবি

শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেও তার ট্রায়ালের অনুমতি পেল না ভারতের সবচেয়ে বড় টিকা তৈরির সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। 

দুই থেকে ১১ বছরের ৪৬০ জন ও ১১ থেকে ১৭ বছরের ৪৬০ জনের উপর পরীক্ষামূলকভাবে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়াল চালাতে চেয়েছিল সেরাম। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। 

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কোভোভ্যাক্স কোনো দেশে ছাড়পত্র পায়নি। এই টিকাটি আদৌ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে টিকাটি শিশুদের উপর পরীক্ষা করা যাবে না। ১৮ বছরের উপরের ব্যক্তিদের উপর এই টিকার প্রভাব কী পড়েছে, তা আগে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। তারপর স্থির হবে আদৌ শিশুদের উপর এই টিকার পরীক্ষা করতে দেয়া হবে কি না।

ভারতে এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। একটি ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয়টি সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড ও তৃতীয় রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক। এছাড়াও দুইটি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। সেরামেরই তৈরি কোভোভ্যাক্স ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকভ ডি। 

সিরাম জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড়দের ব্যবহারের জন্য কোভোভ্যাক্স বাজারে চলে আসবে। জাইডাসের টিকা তারও আগে চলে আসার কথা।

কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নোভ্যাক্স সংস্থার সাথে হাত মিলিয়ে কোভোভ্যাক্স তৈরির কাজ শুরু করেছিল সেরাম। তখনই সেরামের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। কিন্তু সরকারের নতুন এই বক্তব্যে পুরো বিষয়টি নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

ভারতীয় ভ্যাকসিন নিয়ে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। ইউরোপ ভারতের কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন কোনোটিই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টিকার তালিকায় রাখেনি। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপ যাওয়া যাবে না। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের উপর চাপ তৈরি করেছে। বিষয়টি কার্যত কূটনৈতিক সংঘাতের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh