চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০৭:১৯ পিএম
রেহান উদ্দিন মিজি হত্যা মামলার আসামি খোরশেদ আলম
তাস খেলতে পরিচিত একজন জুয়ারিকে নিজের ঘরে ডেকে এনেছিলেন চাঁদপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী রেহান উদ্দিন মিজি। শেষে টাকার লোভে সেই জুয়ারির হাতেই খুন হন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার খোরশেদ আলম (২৭)।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন রেহান উদ্দিনের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলো। এ সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে তিনি সহযোগী জুয়ারি খোরশেদ আলমকে তাস খেলতে ডেকে আনেন। জুয়া খেলায় হেরে যাওয়ার ক্ষোভেই রেহান উদ্দিনকে ধারালো দা দিয়ে মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করে আসামি খোরশেদ আলম। পরে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে ৩০ জুন খোরশেদ আলমকে শহরের প্রফেসর পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আসামির দেয়া তথ্য মতে খুনে ব্যবহৃত দা এবং মৃত ব্যক্তির রক্তমাখা জামাকাপড়সহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামি খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি গরু চুরির মামলা রয়েছে। সে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালী পাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে। আসামিকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ আরো বলেন, আসামি নিজেকে রক্ষায় কৌশল অবলম্বন করে হত্যার শিকার রেহান উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীকে অন্য নাম্বার থেকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলে। যাতে করে ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রভাবিত হয়। এর ফলে আমরা প্রথামিকভাবে বোরহান উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী, বাড়ির দারোয়ানসহ চারজনকে সন্দেহজনক ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করেছি। মূল আসামি গ্রেফতার হওয়ায় অতিদ্রুত তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, ডিআইও ওয়ান তোতা মিয়া, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন বিকালে শহরের নিউ ট্রাকরোড খান বাড়ি সড়কের তামান্না শারমিন ভিলার তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বোরহান উদ্দিন মিজি (৫৫) খুন হন।