মানিকগঞ্জে কঠোর বিধিনিষেধে কাজ করছে ১৪ ভ্রাম্যমাণ আদালত

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০৮:৩৭ পিএম

মানিকগঞ্জে চারশত পুলিশ ও ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

মানিকগঞ্জে চারশত পুলিশ ও ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

দেশজুড়ে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন মানিকগঞ্জে চারশত পুলিশ ও ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জেলা শহর, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট কাজ করছে পুলিশ। কঠোর বিধিনিষেধে তাদেরকে তৎপর দেখা গেছে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, ঔষধ, খাবার হোটেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকান ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তায় কিছু পায়ে চালিত রিকশা চলতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। জরুরি কারণ ছাড়া কাউকে তেমন বের হতে দেখা যায়নি। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে বসানো হয়েছে বাজার।

এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চলতে দেখা গেছে। জেলার প্রবেশদ্বার বারবাড়িয়া, মহাসড়কের গোলড়া, মুলজান, বানিয়াজুরি, বরঙ্গাইল, আরিচা-পাটুরিয়া মোড় সিংগাইরের ধল্লা এলাকায় চেকপোস্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।

পুলিশ সুপার জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে পুলিশের চার শতাধিক সদস্য মাঠে কাজ করছে। কঠোর বিধিনিষেধ পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। পৌর এলাকাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোর প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি কঠোর বিধিনিষেধ পালনে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ পালনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি মোবাইল টিম কাজ করছেন। জরুরি কাজের বাইরে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হবে। তিনি জনগণকে এই সময়ে জরুরি কাজ ব্যতীত ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

এদিকে, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকাও রয়েছে জনশূন্য। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় শুধু কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh