বীর বাহাদুরের দাম উঠলো ১৮ লাখ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ১১:২১ এএম

ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বীর বাহাদুর

ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বীর বাহাদুর

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে প্রায় ৪০ মণ ওজনের ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে বাড়িতে। তার সঙ্গে সেলফি ওঠানোরও হিড়িক চলছে।

‘বীর বাহাদুর’ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের মৃত. শাবাজ উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমানের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি গরু ব্যবসায়ীরা ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন ১৮ লাখ টাকা।

ওই গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ ও সারজুল ইসলাম জানান, ‘আতিয়ার রহমান গরুর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেন সেটাই সে পালন করে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে।’ 

ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম ও তৈয়ব আলী জানান, ‘আমাদের এলাকার অনেকে ‘বীর বাহাদুর’কে দেখে গিয়ে গল্প করছিলেন। এই গল্প শুনে আমিও এসেছি। গরুটি দেখে গরু মনে হয়নি, মনে হয়েছে এটি একটি হাতি। জীবনেও এমন গরু দেখিনি।

তবে বীর বাহাদুরের মালিক আতিয়ার রহমান বলছেন, ষাঁড়টিকে ২২ লাখ টাকায় বিক্রির ইচ্ছে আছে তার। ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের পরিবার তথা গ্রামের খুব আদরের একটি ষাঁড়। খাবার দেয়া, ময়লা পরিষ্কার, গোসল দেয়া সবই আমি ও আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিন একসাথে করি। ‘বীর বাহাদুর’ অনেক বড় হওয়ায় সব কাজ একা করতে পারি না। তাই সব সময় আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিনের সহযোগিতা নিতে হয়। তাদের চিকিৎসা, তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ সর্ব বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হয়।’


তিনি আরো জানান, তিন বছর আগে ‘বীর বাহাদুর’কে চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা বাজার থেকে খরিদ করে নিয়ে আসি। সব সময় পরিমিত খাবার আর যত্ন করে ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তিনি। ‘বীর বাহাদুর’ এর পেছনে এখন পর্যন্ত আমার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন ‘বীর বাহাদুর’ এর খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা করে।’ তাছাড়া ‘বীর বাহাদুর’ এর জন্য আমার নিজ বাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে কচি সবুজ ঘাসের চাষ করেছি। সেখান থেকে ঘাস ও ভুষি মাখিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তবে ‘বীর বাহাদুর’কে কখনোই মোটা তাজা করন খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করিনাই।

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস জানান, আমি ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে দেখতে গিয়েছিলাম। গরুটির ওজন ৪০ মণের বেশি হবে বলে ধারণা করছি। ঈদ আসতে এখনো কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরো কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া আমার জানামতে ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ঘাস ও ভুষি মাখিয়ে খাওয়ানো হয়। আমি জানি ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে মোটা তাজা করন খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করা হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh