রাজধানীতে অযৌক্তিক প্রবেশ করলেই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

গাবতলীতে মামলা দেওয়া হচ্ছে এক মোটরসাইকেল চালককে।

গাবতলীতে মামলা দেওয়া হচ্ছে এক মোটরসাইকেল চালককে।

শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউনের মধ্যেই চলছে বৃষ্টি। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন চেক পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। বাইরে থেকে রাজধানীতে ঢোকা গাড়ির সংখ্যা আজ অনেক কম। যারা ঢুকছেন তারা অনেকেই জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন। আর যারা অযৌক্তিক কারণে আসা-যাওয়া করছেন, তাদের মামলা দেওয়া হচ্ছে।

গাবতলী পুলিশ চেকপোস্ট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যেসব গাড়ি আমিনবাজার হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকেই বের হয়েছেন বিদেশে যাওয়ার জন্য করোনা টেস্ট করতে, কেউ রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন, আবার জরুরি পরিসেবার যানবাহন তো রয়েছেই।

এ বিষয়ে গাবতলী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সামসুদ্দিন সরকার বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা এবং যথাযথ কারণ উপস্থাপন করতে না পারার কারণে অনেককে আমরা মামলা দিচ্ছি। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাসায় থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাইরে বের হলে নিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

এদিকে রাজধানীর রাস্তায় গতকালের তুলনায় আজ সকালে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়েছে। রামপুরা, খিলগাঁও, মৌচাক, মালিবাগ এলাকায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। তবে প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেশি চোখে পড়েছে। পুলিশের উপস্থিতি কম থাকায় সেসব এলাকায় ভিড় বেশি। আর কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুলিশ আসার আগে।

বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আজও তল্লাশি করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরুরি ছাড়া কাউকে বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। সকালের দিকে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পণ্যবাহী কিছু যান চলেছে। তবে সংখ্যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম।

করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এবার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস সাত দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। 

করোনায় দেশে গত ছয় মাসে মারা গেছে ৬ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে গত এপ্রিল মাসে। দেশে শনাক্তের বিপরীতে এখনো পর্যন্ত মৃতের হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এ যাবৎকালের সর্বাধিক ১৪৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh