১১-২০তম গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের আশ্বাস দিলেন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১, ০৩:৫০ পিএম

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে ফুরফুরে সরকারি কর্মচারীরা। ফাইল ছবি

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে ফুরফুরে সরকারি কর্মচারীরা। ফাইল ছবি

সবশেষ ২০১৫ সালের বেতন স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের মূল বেতন দ্বিগুন হলেও, বঞ্চনার অভিযোগ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের। ২০ থেকে ১১তম গ্রেডে বাদ পড়েছে সিলেকশন গ্রেড, মহার্ঘ ভাতাসহ নানা সুবিধা। কমেছে টাইম স্কেল, ইনক্রিমেন্ট। 

সংকট কাটাতে এরই মধ্যে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর আবেদন অর্থবিভাগে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অবশ্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছে তার মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রীর এ আশ্বাসে বেশ ফুরফুরা মেজাজে আছেন নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ফেসবুকে।  

২০০৯ সালের পে স্কেলে ২০তম গ্রেডে চতুর্থ শ্রেনীর সরকারী কর্মচারীর মূল বেতন ছিলো ৪ হাজার ১০০ টাকা। মহার্ঘ ভাতাসহ ৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২০১৫ সালের সবশেষ জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন দ্বিগুণ করায় তার পাওয়ার কথা ১১,২০০ টাকা। কিন্তু ২০তম গ্রেডে মহার্ঘ ভাতা না থাকায় ঐ কর্মচারী পাচ্ছেন মাত্র ৮,২৫০ টাকা।

একইভাবে ১৪তম গ্রেডের একজন সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ৭ম জাতীয় বেতন স্কেলের নিয়মে সিলেকশন গ্রেড এবং ৩ টি টাইম স্কেল সুবিধা পেয়ে ১৬তম বছরে মূল বেতন পেত ২৮,৮১০ টাকা। কিন্তু সবশেষ পে-স্কেলে একই পদধারী ব্যক্তি ১৬তম বছরে ২ বার উচ্চতর স্কেল পেয়ে মূল বেতন পাবেন ২২, ৪৫০ টাকা। যা আগের চেয়ে ৬,৩৬০ টাকা কম।

পদ বৈষম্যেরও অভিযোগ করেছেন সচিবালয়ের বাইরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার, অভিন্ন নিয়োগ বিধি এবং পদন্নোতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও উচ্চতর পদের স্কেল প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হেদায়েত হোসেন।

চলমান বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে পে কমিশন অনুযায়ী ৫ বছর পর পর বেতন বৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চিয়তার সরকারী কর্মচারীরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh