সড়কে যাত্রী কম, বিপাকে রিকশা চালকরা

নিজস্ব প্রতিবেক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ০৫:৪২ পিএম

যাত্রীর অপেক্ষায় রিকশা চালকরা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

যাত্রীর অপেক্ষায় রিকশা চালকরা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ রাস্তায় বের না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালকরা। জমার টাকা তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা।

জিন্স প্যান্ট আর শার্ট পরে যাত্রীর অপেক্ষায় রিকশা নিয়ে দাড়িয়ে আছেন রাশেদ। তিনি বলেন, ১৫ দিন হল কোম্পানির চাকরি ছেড়ে রিকশা চালাচ্ছি। গত কয়েকদিন ভালো বাড়া পেলেও আজ একদমই খ্যাপ নাই। প্রতিদিন ১০০ টাকা জমা দেওন লাগে। ভাড়া পাই আর নাই পাই জমার টাকায় কোনো ছাড় নাই। লকডাউনের মধ্যেও জমার কম নেয় না।’

রাশেদ জানান, রামপুরা এলাকায় থাকেন তিনি। গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। ইচ্ছে থাকলেও গাড়ি বন্ধ থাকায় এখন আর গ্রামে যেতে পারছেন না।

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।  জরুরি কারণ ছাড়া সবার ঘরের বাইরে বের হওয়া মানা। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঘর থেকে কম মানুষই বাইরে বের হয়েছেন। ঢাকার রাস্তায় খুবই কম গাড়ি চলতে দেখা গেছে।  

ফলে শুক্রবার বেশির ভাগ রিকশা চালকের অবস্থাই রাশেদের মতো। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এদিন সকাল থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় অলস বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।

রংপুরের আশিক মিয়া থাকেন আদাবর বস্তি এলাকায়। তিনি ভোর ৬টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রিকশা নিয়ে বের না হলে যে ভাত হয় না। বের হয়েও আজ জমার টাকা উঠছে না।’ 

আজিজার রহমান রিকশা নিয়ে ভোরে বের হয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত একটি ভাড়া পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাত থেকেই তো বৃষ্টি, তার ওপরে আজ শুক্রবার। মানুষই নাই। মোহাম্মদপুরে বসে ছিলাম। লোক নাই। খ্যাপ পাই না। পরে একটা খ্যাপ নিয়ে এ্যানে আইলাম।’

লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ অমান্য করায় ঢাকায় ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২১২ জনকে সাজা দেয়া হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই বের হওয়ায় ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, রেকারিং করা হয়েছে ৭৭টি গাড়ি। আর ছয়টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।

কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। বিনা কারণে কেউ বের হয়েছে কি-না, তা যাচাই করছেন তারা। এখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সবারই কোনো না কোনো অজুহাত আছে। আমাদের কাছে যেটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে তাদের যেতে দিচ্ছি। যাদের কারণগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে না তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh