নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেতে নিবন্ধনের প্রথম দিনেই ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবাসীরা। টিকা নিবন্ধনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর ইস্কাটনে ভিড় করেন তারা। তবে সার্ভার জটিলতায় টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি প্রবাসীরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে প্রতি জেলায় জনশক্তি অফিসে শুক্রবার (২ জুলাই) থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয় সরকার।
সকাল ৯টায় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি সার্ভারে দেখা দেয় জটিলতা।
পাসপোর্ট ও ভিসার কপি দিয়ে সার্ভারে নিবন্ধনের জন্য ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পে করার সময় স্থগিত হয় সার্ভারের কার্যক্রম।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবাসীরা জানান, অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারায় লকডাউনে নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়েই তাদের আসতে হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির নতুন কর্মীদের টিকার অনুমোদন দেয়া হলেও অন্যরা পাচ্ছেন না। নতুন করে নিজ নিজ জেলা থেকে নিবন্ধনের জন্যে বলা হলেও লকডাউনের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও নিবন্ধনের জন্য সকাল থেকেই ভিড় করেছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। সব কেন্দ্রেই নিবন্ধন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন তারা।
এদিকে ভিসার মেয়াদ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে আছেন চাকরি হারানোর শঙ্কায়।
টিকা নিবন্ধন করতে আসা এক প্রবাসী কর্মী বলেন, বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) রেজিস্ট্রেশন আরও এক মাস মেয়াদ আছে। টিকা নিবন্ধন করতে আসলে জানানো হয়, যাদের বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন আছে তারা চলে যান।
প্রবাসী কর্মীরা বলেন, এখানে এসে দেখলাম অফিসের কোনো ব্যবস্থাপনাই ঠিক নাই। বুঝছি না কী করব। একজনের কাছে গেলে অন্যজনকে দেখিয়ে দেন। সে আবার আরেকজনের কাছে যেতে বলেন। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো আছে। এখন যদি গন্তব্যে যেতে না পারি, তাহলে চাকরি থাকবে না।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারোয়ার আলম বলছেন, সার্ভার সচল হলে কাল থেকে নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, একই সময়ে অনেকেই অ্যাপস ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, এতে সার্ভার বারবার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। তাই লকডাউনের মধ্যে ঘরে বসে প্রবাসীদের নিবন্ধন করার অনুরোধ করেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার প্রাপ্তি ও বয়স প্রমার্জন করে টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে (চালু হওয়া সাপেক্ষে) রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৪২টি জনশক্তি অফিস, ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১টি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অথবা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে।’