আগামীতে টিকার অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২১, ০৩:১৫ এএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১, ০৩:১৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা মডার্নার ১৩ লাখ ডোজ টিকা বুঝে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা (শনিবার) সকালে এসে পৌঁছাবে। আগামীতে টিকার আর কোনো অভাব হবে না।

শুক্রবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মডার্নার টিকা হস্তান্তরকালে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, টিকার সংকটে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচিতে ছন্দপতন হয়েছিল। এসব টিকা আসায় গণটিকাদান কর্মসূচি আবারও গতি পাবে। টিকাদান কার্যক্রম আমরা জোরেশোরেই শুরু করেছিলাম। টিকা না পাওয়ায় মাঝখানে কিছুদিনের জন্য টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন আমরা আনন্দের সাথে বলতে পারি, আগামীতে টিকার আর কোনো অভাব হবে না।

ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ বিভিন্ন উৎস থেকে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী বছরের প্রথম তিনমাসের মধ্যে বা তার পরে জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ টিকা আসবে। তাদের একটি টিকা একজনকেই দেয়া হবে। তাহলে তাদের টিকাই আমরা সাত কোটি মানুষকে দিতে পারব।

চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগস্টে ১৫ লাখ টিকা আসবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পাননি তাদের এই টিকা দেয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আগস্ট মাস থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে, এমন ইঙ্গিত পেয়েছি। আমরা আশা করি, সময় মতো টিকা পেয়ে যাব। যারা সেকেন্ড ডোজের অপেক্ষায় আছে, তারা আবার টিকা নিতে পারবে। দ্বিতীয় ডোজ যাদের আটকে আছে, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা দেবে।

টিকা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর, ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এবং ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোলাম মাওলা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh