সড়কের বেহাল দশা

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২১, ০৮:৩৭ এএম

মানিকগঞ্জের বেউথা আন্ধারমানিক সড়ক

মানিকগঞ্জের বেউথা আন্ধারমানিক সড়ক

মানিকগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম জনপদ বেউথা আন্ধারমানিক সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ চলাচলের এ রাস্তায় এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, সেই সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি। ফলে শহর থেকে হরিরামপুরমুখী প্রায় অর্ধশত গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়েই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙা রাস্তায় চলাচল করছে ধারন ক্ষমতার অধিক ওজনের ভাড়ি যানবাহন। ফলে ভাঙা রাস্তা আরও ভেঙে জনদুর্ভোগে পরিণত হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, এই সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে, খাল বাকলা উঠে বিশালাকার গর্ত আর খাদে বৃষ্টির কারণে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দীর্ঘ যানজটও হচ্ছে। পথচারীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন। প্রায় চার বছর আগে এলজিইডির নির্মিত এ সড়ক ভারি যান চলাচলের কারন ভেঙে দুই বছর আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। পরে সড়ক ও জনপদের অধীনে সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে আর কাজ করা হয়নি।

অটোবাইক চালক আশিক মিয়া জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে ভাঙন ও বড় বড় গর্তের কারণে মিনি ট্রাক ও সিএনজি উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 

কয়েকজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী জানান, এ এলাকায় যেখানে ভালো মানের সড়ক প্রয়োজন, সেখানে পায়ে হেঁটে চলারও উপায় নেই। আমাদের এখানে ১৩টি রেস্টুরেন্টের অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুধু সড়কের বেহাল দশার কারণে। 

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবু মোহাম্মদ নাহিদ জানান, এই সড়কে পৌরসভার তহবিল থেকে রাভিস ফেলে সংস্কার করেছি, রোলার দিয়ে সমতল করছি, বৃষ্টি আসলেই তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বসতির তুলনায় সড়ক নিচু হওয়ায় ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এ অবস্থা হয়েছে। সড়ক ও জনপদের অধিনস্ত এ সড়কটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের বিষয়ে আমরা সব সময় তাগিদ দিচ্ছি। 

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মো. রমজান আলী জানান, প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে মহা-সড়কের আদলে এই সড়কটি ড্রেনেজ ও লাইটিংসহ মান সম্পন্ন সড়ক ব্যবস্থা করতে আগ্রহী মানিকগঞ্জ পৌরসভা। সড়কটি নির্মাণ কাজ করার কথা সড়ক ও জনপদের। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সড়কটি আধুনিকায়ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh