পশ্চিম তীরে আব্বাসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২১, ১১:৫৮ এএম

বিক্ষোভকারী ঘরে বানানো নানা রকম প্ল্যাকার্ড আর বানাতের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ছবি : বিবিসি

বিক্ষোভকারী ঘরে বানানো নানা রকম প্ল্যাকার্ড আর বানাতের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ছবি : বিবিসি

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসে পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক নিজার বানাত নামের এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুর পর গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) এই বিক্ষোভ হয়। 

বানাতের মৃত্যুতে সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে আরেকটি বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সাদা পোশাকধারীরা হামলা চালিয়ে সমাবেশটি পণ্ড করে দেয়। তবে গতকালের বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিন্দা করে বিক্ষোভকারীরা ‘শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করো’ বলে শ্লোগান দেয়। এক দশক আগে আরব বিশ্ব জুড়ে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, তখন এই শ্লোগানটিই শোনা যেত।

গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় রামাল্লার আল-মানারা স্কয়ারে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। সমাবেশে নিজার বানাতের মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা করতালির মাধ্যমে তাদের স্বাগত জানান। এ দিন বিক্ষোভরতদের আশেপাশে পুলিশের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি।

বানাতের মৃত্যুর পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যরা বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের যেভাবে হেনস্তা করেছে, শক্তি প্রদর্শন করেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র খুবই বিরক্ত।

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিতের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

বানাত কিভাবে মারা গেছেন, তা নিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সরাসরি কিছু বলেনি। বানাতের মৃত্যুর তদন্ত করতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তার রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। 

ফিলিস্তিনি বিচারমন্ত্রী কেবল এটুকুই বলেছেন, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই কমিটি তাদের রিপোর্ট বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বলেছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

এদিকে বানাতের মৃত্যুর পর যে বিক্ষোভ দেখা গেছে, তা কোনো রাজনৈতিক দলের আয়োজন করা নয়, বরং এই অসন্তোষেরই স্বতস্ফূর্ত বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। রামাল্লায় যে মিছিল হয়েছে, তাতে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপদলের পতাকা দেখা যায়নি। বরং বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা গেছে ঘরে বানানো নানা রকম প্ল্যাকার্ড আর বানাতের ছবি। -বিবিসি ও আল জাজিরা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh