মেগা প্রকল্পের টাকায় টিকা কেনার আহ্বান বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২১, ০৬:২১ পিএম

বিএনপির ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন।

বিএনপির ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন।

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রতিরোধে মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ অর্থ দিয়ে অতিদ্রুত সরকারকে টিকা কেনার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে গিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের ‘করোনার ভাকসিন সংগ্রহ-বিতরণ-পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি’র আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের কাছে এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। টিকা কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অন্য খাত থেকে বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ অর্থ ডাইভার্ট করে টিকা কেনা অতি জরুরি। এক লাখ, দুই লাখ, পাঁচ লাখ নয়, কোটি কোটি ডোজ টিকা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে করোনা ৪/৬ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

তিনি  বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে অতি শিগগিরই টিকা দেয়ার মাধ্যমেই একমাত্র করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।  

তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সেসব দেশের প্রায় ৭০/৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সমর্থ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সরকারের টিকা কূটনীতিতে চরম ব্যর্থতা, টিকা কেনায় অনিয়ম, লোভ ও হঠকারিতার কারণে দেশে টিকাদান শুরুর পর থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন মাত্র ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৬ জন। এই হিসেবে গত ৬ মাসে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।  

ড. মোশাররফ বলেন, বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত টিকা লাগে কেনা হবে। কিন্তু কোথা থেকে কেনা হবে, কবে নাগাদ কেনা হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখেননি।  

করোনা সংক্রামণ মোকাবিলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর হটলাইনে চিকিৎসাসেবা, বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান, সীমান্তবর্তী জেলায় হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো-ন্যাজাল ক্যানুলা সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার কার্যক্রম তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গতকালও ডব্লিউএইচও ডিজির যে রিকমন্ডেশন অর্থাৎ আপনাকে মিনিমাম শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করতে হবে। যদি এটা করা যায় তাহলেই আপনি ইমিউনিটি অর্জন করা, অর্থনীতিকে সচল রাখা সম্ভব হবে। ৭০ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে যদি ভ্যাকসিনেটেড করতে হয় আপনার মিনিমাম ২৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের দরকার।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh