ফয়সাল শামীম, কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৯:২১ এএম
কাচু শেখ
সত্তরোর্ধ্ব কাচু শেখ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তার তিন সন্তানই পৃথক হয়ে গেছে। মেঝো ছেলে তার প্রতিবন্ধী দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্য জায়গায় চলে গেছে। এখন নিজের স্ত্রী, ছেলের স্ত্রী ও তার দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। এ অবস্থায় কাচু শেখের বয়স্কভাতার অর্থই ছিল শেষ সম্বল; কিন্তু সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে কাচু শেখ জানতে পারেন তার স্মার্ট কার্ডে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে! এ কারণে সমাজসেবা অফিস থেকে তার নাম কাটা গেছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামসপাড়া গ্রামের মৃত: আছমত শেখের পূত্র কাচু শেখ। বৃদ্ধ কাচু শেখের সংসারে পাঁচ জন সদস্য। তাদের মধ্যে দু’জনই প্রতিবন্ধী। তারাও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে না। ফলে চরম অভাব আর অনটনের মধ্যে কাটছে তাদের দিন। এই অবস্থায় বয়স্কভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। কাচু শেখের স্ত্রী অজিরন বেগম বলেন, প্রথমে নাতির প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ হয়ে গেল। এখন স্বামীরও ভাতা বন্ধ। বাবারে টেকা পইসা নাই। খায়া না খায়া আছি।
চিলমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, ভোটার ডাটাবেজে তাকে মৃত দেখানোয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাতাভোগীদের নাম অনলাইনে হালনাগাদ করতে গিয়ে এন্ট্রি না নেওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওনাকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, তথ্য সংগ্রহকারী ও ইউপি মেম্বারদের তথ্য ভুলের কারণে জীবিত ব্যক্তি মৃত হয়ে গেছে। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি সংশোধন করা হয়।