পাট চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৯:৫০ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ে পাট চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে পাট চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে ধান, গম, ভুট্টা, আখসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সোনালি আঁশখ্যাত পাটেরও ভালো আবাদ হচ্ছে। চলতি বছর এ জেলায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখানে সোনালি আঁশে কৃষকের সুদিন ফিরেছে। পাট ওঠার শুরুর দিকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন দাম এই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাটের বেশি দাম পাওয়ায় আনন্দিত কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৩০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার এখানে পাঁচ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ছয় হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছর পাঁচ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। বিগত সময়ে বাজারে পাটের দাম না পাওয়ায় জেলায় ধীরে ধীরে কমে যায় পাটের চাষ। মূলত গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় পাট চাষে আবারও আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। 

পাট চাষি সুমন ঘোষ বলেন, আমি দেড় যুগ ধরে পাট চাষ করে আসছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে রোগবালাই কম হওয়ার কারণে খুব একটা কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। আর এতে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে পাট উৎপাদন হয়।

আজমল, মনসুর, রজদ আলীসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা কয়েক যুগ ধরেই পাট চাষ করছেন। এই এলাকায় একটি জুট মিল (করিম জুট মিল) স্থাপিত হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে পাটের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত ছিলাম। সুপ্রিয় জুট মিল নামে আরও একটি বড় জুট মিল স্থাপিত হয়েছে। এখানে পাটের বাজারে সুদিন ফিরে এসেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর বেশি পরিমাণে পাটচাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই অঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পাট চাষিদের সব রকমের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh