ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ১০:৪২ এএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১, ১০:৫৬ এএম
ফাইল ছবি
দীর্ঘমেয়াদি অবসাদগ্রস্ততা বা ক্লান্তি এমন একটি অবস্থা যেখানে প্রতি রাতে ভালো ঘুম ও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়ার পরও ক্লান্তি দূর হয় না। মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রমের কারণে এটি আরো জটিল আকার ধারণ করে যার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে।
অনেকেই এই সমস্যার সমাধান মনে করেন, আরো বেশি ঘুমালে হয়তো ক্লান্তি কেটে যাবে। কিন্ত বিষয়টি ঘুমের অভাবে নয়, বরং হতে পারে অন্য কোনো সমস্যা।
চলুন জেনে নেয়া যাক প্রতিদিনকার ক্লান্তি থেকে পরিত্রাণের উপায়-
পানি স্বল্পতা
পানি স্বল্পতার মানে হল শরীরে পানির ঘাটতি হওয়া। দেহের মূল অংশ পানি। তাই পানির শূণ্যতা দেখা দিলে শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তভাব দেখা দিতে পারে।
লৌহের ঘাটতি
লৌহের ঘাটতি থাকলে সারাদিন ঘুমালেও কোনো লাভ হয় না। শরীর ক্লান্ত লাগার অন্যতম কারণ হল আয়রন বা লৌহের স্বল্পতা। গর্ভবতী ও পিরিয়ড চলাকালীন লৌহের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে বেশি করে শাক সবজি ও সালাদ খাওয়া প্রয়োজন।
শরীরচর্চা না করা
আলসেমি লাগার অন্যতম কারণ হল শরীরচর্চা না করা। ব্যায়াম শরীরের ক্যালরি খরচ করতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সারাদিন কোনো কাজ করা না হলে তা ঘুম ঘুমভাবের সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা
অন্যদিকে অনেকক্ষণ শরীরচর্চা করার ফলেও ক্লান্ত ও নির্জীব লাগে।
গরম
অনেকক্ষণ উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে থাকলে ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে। এই সময় দুর্বলভাব দেখা দেয়া স্বাভাবিক।
নারকোলেপ্সি
স্নায়ুর এই সমস্যাটি মোটামোটি জটিল। এর কারণে সারাদিনের যেকোনো সময়ে স্লিপ অ্যাটাক হতে পারে। তখন ঘুম ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যায়।
হাইপারসমনিয়া
সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে এবং এর ফলেও সারাদিন ক্লান্তি কাটে না। দিনের বেলা জেগে থাকতে অত্যন্ত কষ্ট হয়। ঘুম ঘুম ভাব লেগে থাকার কারণে রোগী সারাদিন ক্লান্ত হয়ে থাকে। এর ফলে সে দৈনন্দিন কাজকর্ম ঠিকভাবে করতে পারে না।
ব্লাড সুগার ওঠানামা
ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও শারীরিক ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে সহজেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
হতাশা ও বিষণ্নতা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে দুর্বলতা আর ক্লান্তি ভর করতে পারে। এমন হলে আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দেখবেন অল্প দিনেই আপনি হয়তো আবার নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করবেন।