ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০১:৪৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, আজ সোমবার (১২ জুলাই) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। মানুষকে বার বার এসব বিষয়ে সচেতন করার পরও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি করপোরেশন ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে এবং তারা অভিযান পরিচালনা করবে।

গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন রোগী। চলতি বছর একদিনে অর্ধশতাধিক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির এটিও নতুন রেকর্ড। হাসপাতালে মোট ভর্তি ৫৩ জন রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে আটজন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯০ জনে। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন রাজধানী ঢাকার ও একজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত অথবা ব্যবহার করা ভবন যেখানেই হোক পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশা প্রজননে ভূমিকা রাখলে আইন আনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোন অধিকার আমার, আপনার কারোরই নেই।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর মারাত্মক ভয়াবহতার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এ বছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হবে। 

উভয় সিটি করপোরেশনের মেয়র অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ও মৃত্যুও ঘটছে। নগরীবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগ আতঙ্ক কাজ করছে। 

দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ মাসের ৭ জুলাইয়ের পর্যন্ত সর্বমোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তুলনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির উদ্যোগে নগরবাসীকে সচেতন ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিনব্যাপী মশক নিধন চিরুনী অভিযান পরিচলনা করা হয়। এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। 

এ দিকে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হবে। কারণ বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখছি, হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সুতরাং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমাদের তদারকি আরো বৃদ্ধি করা হবে। 

দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের কাছে একটি ডাটা বেজ আছে কাদের বাড়িতে গত বছর লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। এসব বাড়ির মালিককে আমরা এসএমএস দিয়ে সতর্ক করেছি। - ইউএনবি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh