ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০২:০১ পিএম
কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। ছবি : এএফপি
কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘একনায়কতন্ত্র নিপাত যাক’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলা করতে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে কিউবা। বিদ্যুৎ ও খাদ্য ঘাটতিতে ভোগা কিউবার বিভিন্ন শহরে স্বত:স্ফূর্ত গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী হাভানায় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’ বলে শ্লোগান দেন। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘একনায়ক সরকার আর চাই না’।
বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল ভবনের সামনে জড় হলে সেখানে প্রচুর সামরিক ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। হাভানা থেকে ৩০ মাইল দূরের এন্তোনিও ডি লস বানোস শহরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। এদের অধিকাংশই তরুণ।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে বিপ্লবীদের প্রতিরোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি দেশের সব বিপ্লবী ও কমিউনিস্টের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এখন ও আগামী কয়েকদিন আপনারা রাস্তায় নেমে পড়ুন এবং সাহসের সাথে উস্কানিমূলক এসব পদক্ষেপ মোকাবেলা করুন।
রাজধানী হাভানায় সরকার সমর্থকদের পাল্টা বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশজুড়ে বিক্ষেভের খবর দেখানো হয়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা থেকে ব্যাপকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যা ২০১৮ সালে চালু হয়েছিল।
ল্যাতিন আমেরিকাবিষয়ক মার্কিন শীর্ষ দূত জুলি চাঙ টুইট করে বলেছেন, কিউবায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বাড়ছে। কারণ কিউবার জনগণ বেড়ে যাওয়া কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ জানাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার চর্চা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও দেশটিতে বসবাসকারী কিউবার নাগরিকদের একটি বড় অংশ কমিউনিস্ট সরকারের বিরোধিতা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, কিউবার সেনা যাতে নিজের দেশের নাগরিকদের উপর গুলি না চালায়, তার জন্য চাপ তৈরি করুক যুক্তরাষ্ট্র। -এএফপি