নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম
নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহারের পর বন্দরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। এতে বিপুল পরিমাণ রিমোট কন্ট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জাম, রিমোট ও শক্তিশালী আইইডি মেলে।
বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির কাজীপাড়ার মুকবুল হোসেনের দোচালা একটি টিনের ঘর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। আড়াইহাজারের পর রবিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অভিযান চালায় সিটিটিসি।
অভিযানের পর সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সিটিটিসির একটি টিম তিন দিন আগে বারেক ওরফে সাব্বিরসহ তিন জঙ্গিকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে। বারেকের দেয়া তথ্যানুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মেজর ওসামা ওরফে নাইমকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে নাইম জানায়, তিনি নব্য জেএমবির একজন সদস্য এবং পাশের একটি মসজিদের ইমাম। যে বাসা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। কয়েক দিন আগে তিনি পরিবারকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, এখানে কমপ্লিট কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। এখানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও চারটি রিমোট এবং শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা তৈরির সামগ্রী পাওয়া গেছে। এসময় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ একজনকে আটক করা।
এসময় শক্তিশালী তিনটি বোমা উদ্ধারের পর নিস্ক্রিয় করা হয়। গ্রেফতারকৃত মামুন নোয়াগাঁও এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। গত ১৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে উদ্ধার করা দুইটি বোমা এরেই তৈরি।
এলাকাবাসী জানান, বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন একজন আহলে হাদিসের অনুসারী। তিনি কাজীপাড়া এলাকায় আহলে হাদিস নামে বিতর্কিত একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মসজিদের ইমাম ছিলেন গ্রেফতার হওয়া নাইম। দুই মাস আগে নাইম পরিবারকে দেশের বাড়ি কেরাণীগঞ্জে রেখে আসেন। এর আগে নব্য জেমএমবির সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রীবাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় সিটিটিসি।