ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৭:৫৪ পিএম
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন
ঈদের আগে পর্যটন শ্রমিকদের বেতন বোনাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। শ্রমিক নেতারা বলছেন, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন বোনাস না দিলে, তারা আন্দোলনে নামবেন। সোমবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের তথ্যমতে, সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। করোনার প্রভাবে গত বছর হোটেল মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্র গুলো থেকে প্রায় ৫ লাখ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। এবারও হোটেল ও রিসোর্ট মালিকদের হিসাবে প্রায় নয় লাখ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা অধিকাংশ ঠিকমতো বকেয়া বেতনও পায়নি। পর্যটনের ১১৯টি ক্ষেত্রের কর্মীদের শ্রম আইনের আওতায় আনা, ন্যায্য মজুরি কাঠামো ঘোষণা সময়ের দাবি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজধানীর এনচ্যান্টেড হোটেলের কর্মী ফারহানা ইয়াসমিনকে সম্প্রতি বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘মালিকপক্ষ সরকার কেউ আমাদের পাশে নেই। কারও কাছে আমাদের অভিজ্ঞতারও কোন মূল্য নেই। করোনার সময় ৩০–৪০ শতাংশও যদি বেতন পেতাম, তাহলে পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারতাম।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাশেদুর রহমান বলেন, ‘২৬ মার্চ ২০২০ থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার পর পর্যটন কেন্দ্রগুলিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন লকডাউন থাকার পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগ পর্যন্ত অন্যান্য প্রায় সকল খাত চালু থাকলেও পর্যটন খাত আর কার্যত চালু হয়নি। কর্মে ফিরতে পারেনি এই খাতে কর্মরত লাখ লাখ মানুষ। করোনা সংক্রমণের আগ পর্যন্ত বহু বছর ধরে চাকরি করে আসা প্রতিষ্ঠানের দুয়ার বন্ধ হয়েছে গেছে। অনেক দক্ষ কর্মী হয়ে পড়েছে বেকার। কর্মরত যারা আছেন, তারাও ঠিক মতো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না।’
রাশেদুর রহমান বলেন, ‘বিদেশ থেকে আসা মানুষদের কোয়ারেন্টিনের জন্য রাজধানীতে ৩০ টি হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হোটেলেও অনেক শ্রমিককে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মাত্র ৩০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে হোটেল গুলো চালানো হচ্ছে। আট ঘণ্টার বদল ১২ থেকে চৌদ্দ ঘণ্টা খাটানো হচ্ছে। বেতনও ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা দাবি করছি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশের পর্যটন শ্রমিকদের যাতে বকেয়া বেতন ও ঈদের বোনাস পরিশোধ করা হয়। তা না হলে আমরা আন্দোলনের ঘোষণা করবো।’