বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে অনুমতির অপেক্ষায় চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৯:২১ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১, ১১:৪৫ পিএম

সরকারের অনুমতি পেলেই চীন বাংলাদেশে যৌথ টিকা উৎপাদন শুরু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির মিনিস্টার কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে টিকার যৌথ উৎপাদন শুরু করতে চায় চীন। টিকার যৌথ উৎপাদনে প্রস্তুত চীন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে চীন টিকা উৎপাদন শুরু করবে। 

চীনের ক্ষমতাসীন দল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১২ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই–অ্যাবকা আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যাপারে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কাজ করছে জানিয়ে ইয়ান হুয়ালং বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের শিক্ষার্থীরাই এ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এখনই অন্য কোনো দেশের শিক্ষার্থীদেরকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এটি কেবল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নয়, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীরাও ফিরতে পারছে না। কেউই চীনে যেতে পারছে না। করোনা যেভাবে আঘাত করছে তাতে আমি খুব দ্রুতই এ অবস্থার পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছি না। এমন মহামারি এর আগে আমরা কখনো দেখিনি। কাজেই প্রতিটি দেশই ব্যাপক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। চীন ও চীনা দূতাবাস কাজ করছে। যখনই ভালো সময় আসবে চীনা টিকা ও চীনে ফেরার ব্যাপারে বাংলাদেশি বন্ধুরা ও শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, চীন ১৯৪৯ সাল থেকে অন্তত ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কীভাবে ভেতর থেকে বদলে গেছে- তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ আছে। 

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সব যুগেই সম্পর্ক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ যখন বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন, বিশেষ করে ১৩৯৩ সাল থেকে শুরু করে ১৪০৮ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।

অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অ্যাবকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও ওরিয়ন ডেন্টাল অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ঢাকার হেড অব অপারেশনস মো. আবু কাউসার স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাস্ট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ড. নাজমুস সাকিব। 

সমাপনী বক্তব্যে অ্যাবকা প্রেসিডেন্ট মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন দল সিপিসি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিপিসি অসামান্য অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের এক নম্বর বন্ধু চীন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh