২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে শিল্প-কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২১, ০২:৫২ পিএম

পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ রাখতে হবে। ফাইল ছবি

পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ রাখতে হবে। ফাইল ছবি

ঈদুল আজহার পর কঠোর বিধিনিষেধে পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ রাখতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে রফতানিমুখী তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু থাকলেও ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। 

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপনে এমন নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ঈদ–পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। এরপর থেকেই, অর্থাৎ ২৩ জুলাই সকাল ৬টায় আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। ঈদের পর শুরু হওয়া এই কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।’

চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার আবার বিধিনিষেধ দিলেও রফতানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১ জুলাই থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু রয়েছে।

ঈদের পর সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে পোশাকশিল্পের মালিকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কারণ জুন, জুলাই ও আগস্টে শীত মৌসুমের প্রচুর পরিমাণ পোশাক রফতানি করা হয়। 

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বর্তমানে বিপুলসংখ্যক ক্রয়াদেশ পাচ্ছে কারখানাগুলো। ফলে ঈদের পর দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে। অনেক ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করতে পারে। কারণ, ইউরোপ–আমেরিকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। পোশাকের ব্র্যান্ডের দোকানে বিক্রিও বেড়েছে। ফলে তাদের বর্তমানে প্রচুর পোশাক দরকার।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh