ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২১, ০৭:০৭ পিএম
কিশোয়ার চৌধুরী
রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরে সাড়া ফেলেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় কিশোয়ার চৌধুরী। আসরের ফাইনালে উঠেও খেতাবের ছোয়া পাননি কিশোয়ার। ২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় বিচারকদের বিবেচনায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালার মতো আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় একের পর এক এমন মুখরোচক খাবার রান্না করে বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই ‘বাঙালি’ রাঁধুনী।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলার মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফিজিয়ান যাজক জাস্টিন নারায়ণ এবারের খেতাব জিতেছেন। ফার্স্ট রানার্স আপ হয়েছেন পিট ক্যামবেল।
চূড়ান্ত পর্বে পান্তাভাত ও আলু ভর্তা বানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী। একইসঙ্গে বিচারকদের উদ্দেশে পরিবেশিত তার রান্নায় ছিল সার্ডিন মাছ ভাজি ও সালাদ।
নিজের রান্নার বিবরণ দিয়ে কিশোয়ার বলছেন, আপনারা এই খাবার রেস্টুরেন্টে পাবেন না। এটি বেশ দুর্লভ। তবে ফাইনালে এই খাবার তৈরি করতে পারাটা আমার জন্যে বেশ আনন্দের।
খাবার সামনে নিয়ে বিচারকদের একজন বলেন, এটি খুবই শক্তিশালী খাবার। এটি ইতিহাসে ও স্বাদেও শক্তিশালী।
বিচারকদের আরেকজন বলেন, খাবারটি দেখে আমার জিভে পানি আসছে।
অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে প্রচলিত নানা ধরনের খাবারকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার কারণেই ৩৮ বছর বয়সী এই রাঁধুনীকে অন্যসব প্রতিযোগী থেকে আলাদা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলো না তার।
কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায় হলেও তার পারিবারিক আবহটা সবসময়ই ছিল বাঙালিয়ানা। তার বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে আর মা কলকাতার বর্ধমানের। তারা দুজনে আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান।
বিদেশে বসবাস করলেও দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা সবকিছুই বজায় রেখেছেন কিশোয়ারের বাবা-মা, আর সেটা তারা নিজের সন্তানদেরও ধারণ করতে উৎসাহিত করেছেন। বাবা-মায়ের উৎসাহ থেকেই বাঙালিয়ানা খাবারের হাত পাকা হয় কিশোয়ারের।