ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ০১:৪২ পিএম
প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের আতঙ্ক একটু কমেছে। কিন্তু তার মধ্যেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোয়াইন ফ্লু। কোভিড সেরে যাওয়ার পরে জ্বর বা সর্দি-কাশি না কমলে সোয়াইন ফ্লু’র পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই ভাইরাসটির অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। সেখান থেকেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে এটি। প্রথম অবস্থায় এটি রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসকদের কাছে।
পরবর্তীকালে এটি এখন সাধারণ সর্দি-জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাসের একটিতে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলা হয়, এটিও সেই গোত্রের একটি জীবাণু।
করোনার সংক্রমণ যেভাবে হয়, সেই একইভাবে শ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস এবং মূলত ফুসফুসেই সংক্রমণ ঘটায়।
এর উপসর্গের ধরনও প্রাথমিকভাবে করোনা সংক্রমণের উপসর্গের মতোই; জ্বর-সর্দি-কাশি ও অল্প শ্বাসকষ্ট। অনেকের ক্ষেত্রেইই এমন উপসর্গ দেখে করোনা সংক্রমণ বলে সন্দেহ হলেও, পরে দেখা গেছে, তারা সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত।
করোনার প্রভাব ফুসফুস থেকে শুরু হলেও সারা শরীরে তা পড়তে পারে। সোয়াইন ফ্লুতে সাধারণত তা হয় না। আবার সোয়াইন ফ্লু কম বয়সিদের বেশি মাত্রায় আক্রান্ত করে। যা করোনার ঠিক উল্টো। এছাড়া করোনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ আক্রান্তেরই গন্ধের বোধটা অনেক কমে যায়; সোয়াইন ফ্লু’র ক্ষেত্রে এমন কিছু হয় না।
সাধারণ সোয়াইন ফ্লু খুব বিপজ্জনক ভাইরাস নয়। এখন এটি সাধারণ জ্বর-সর্দির ভাইরাসের মতোই আচরণ করে। কিন্তু যাদের রোগপ্রতিরোধ শক্তি কম, যারা সদ্য করোনা থেকে ভালো হয়েছেন- তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। - আনন্দবাজার পত্রিকা