করোনা লুকিয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে!

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২১, ০৪:১৫ পিএম

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আমেরিকা, ব্রিটেন চীনসহ অনেক দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লকডাউন তুলে নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করেছে অনেক আগে থেকে। আমাদের দেশের মত একটি দরিদ্র দেশে যেখানে জীবন জীবিকার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটতে হয় সেদেশে দীর্ঘ মেয়াদে লকডাউন বেমানান। লকডাউনে বাজার, গার্মেন্টস, মিল ফ্যাক্টরি, ব্যাংক-বীমা সব খোলা রাখতে হচ্ছে, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।

সেদিন ব্যাংকে গিয়ে দেখলাম- বিদ্যুত, গ্যাস ও ওয়াসা বিলের লাইন ধরেছে উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। খোঁজ নিয়ে তাদের কাছ থেকে জানলাম- তাদের অভিভাবকরা পাঠিয়েছেন বিল ব্যাংকে জমা দিতে। লোক সমাগম ব্যাংক-বাজার সবখানে কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সেখানে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার গ্যারান্টি দিতে পারে শিক্ষকরা।

গত ২০২০ সালের এইচএসসি অটোপাস দিযেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে  ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি অটোপাস দেয়ার প্রসেসিংয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করি। এত অটোপাস ভবিষ্যতে জাতির জন্য বোঝা ছাড়া আর কিছু না। স্ব স্ব স্কুল কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্র দিয়ে অন্তত পাবলিক পরীক্ষা ব্যাবস্থা করলেও অটোপাসের চাইতে অনেক ভালো হবে। আর বিশেষজ্ঞরা কি ভাবেন জানি না, গার্মেন্টস, রাস্তাঘাট, শপিংমল, ব্যাংক-বীমা কোথাও করোনা আক্রান্তের ভয় নেই। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুললে করোনার বিস্তার ঘটবে? করোনাভাইরাস কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লুকিয়ে আছে! যদি তাই হয় তাহলে ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক ও কর্মচারী সবাইকে টিকার আওতায় এনে অতি শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের। 

-সহকারী অধ্যাপক

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh