‘যেকোনো জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে একটি কাজই যথেষ্ট। শিক্ষার মান কমিয়ে দাও এবং পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনের ব্যবস্থা করে দাও। সেই জাতিকে ধ্বংস করতে আর কোনো পারমাণবিক বোমা কিংবা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন হবে না’। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে খোদাই করে রাখা এই বাণী নবীন শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ।
১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সামার ২০২১ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’ এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করতে গিয়ে এই বাণীর প্রসঙ্গ টানেন মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট সদস্য মো. হাসানুল ইসলাম এনডিসি।
অনলাইন এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড সহিদ আকতার হুসাইন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন বিওটির সদস্য ও ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজম।
প্রধান অতিথি মো. হাসানুল ইসলাম নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর সেই নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে তোমরাই। নেতৃত্ব দেয়ার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তোমার সমস্ত জ্ঞান ও শিক্ষাজীবনের পুরো সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু সেটা তেমন বড় বিষয় নয়। প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম প্রধান পার্থক্য হলো– প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী চাইলেই তার পছন্দমতো সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্বাস আলী খান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আনোয়ার জাহিদ, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এবং ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আকন্দ।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাবেক সফল শিক্ষার্থী ইয়াজ্জুম হোসেন সুমন তার বর্তমান কর্মস্থলের অভিজ্ঞতা নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আবুল বাশার খান। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজলা ফাতমী।