সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১, ০৭:০৩ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১, ০৭:৫৩ পিএম
পরিবারে সদস্যদের মুখে আহার তুলে দিতেই যারা এখন হিমসিম খাচ্ছেন তাদের কাছে ঈদের সেমাই অথবা মাংস এখন বিলাসিতা।
সিরাজগঞ্জের নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষের নেই ঈদ আনন্দ। বর্ষার শুরুতেই সিরাজগঞ্জের চৌহালী আর শাহজাদপুর উপজেলার অন্তত শতাধিক বসতবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। বসতবাড়িহীন এসব মানুষের আশ্রয় মিলেছে টিকে থাকা বাঁধের উঁচু জায়গা, সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে এবং অন্যের জায়গায়।
তবে শাহজাদপুরের আশ্রয়কেন্দ্রটিও দাড়িয়ে আছে নদীগর্ভে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। তাই এবারের ঈদ তাদের জন্য কোন আনন্দের সংবাদ নয়।
গত দুই সপ্তাহে চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাংশে শুরু হয়েছে নদীভাঙ্গন। ভাঙ্গন কবলিত চর নাকালিয়া, চর বিনানই, চর সলিমাবাদ গ্রামগুলো ঘুরে ওই এলাকার মানুষের দেখা মেলে শেষ সম্বল বসতবাড়ি সরাতে ব্যস্ত । এসব মানুষের নেই কোন ঈদ আনন্দ। পরিবারে সদস্যদের মুখে আহার তুলে দিতেই যারা এখন হিমসিম খাচ্ছেন তাদের কাছে ঈদের সেমাই অথবা মাংস এখন বিলাসিতা। নদী আর জীবনের সাথে যুদ্ধ করে এখন শুধু টিকে আছেন মাত্র।
একই অবস্থা শাহজাদপুরের নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নিঃস্ব মানুষ। বসতবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে।
গত কয়েক বছর ধরে চৌহালী উপজেলা নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে হারিয়েছে তার মানচিত্র। কিন্তু তবুও উপজেলাবাসী দেখা পায়নি স্থায়ী বাঁধের। স্থানীয়দের দাবী সাহায্য নয় তাদের নদী ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী বাঁধ।