নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’
কবিতার অংশের সঙ্গে মিলিয়ে বলতে হয়,
সকাল থেকেই ভালো লাগার প্রতিজ্ঞা করা উচিত। কিন্তু চাইলেই তো সারা দিন ভালো থাকা যায় না। সংসারে কাজের চাপ, নয়তো অফিসের হাজারটা চিন্তা৷ আবার লকডাউনে ঘরবন্দি জীবন। দিনের শেষে যোগ-বিয়োগের হিসাবে ফুরফুরে থাকার অংশটা খুবই সামান্য।
আনন্দ আর বেদনা মিলিয়েই তো জীবন। মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ হবে। তাই মন খারাপ রেখে লাভ কী বলুন! হুটহাট করে মন যদি খারাপও হয়ে যায়, নিমিষেই তা ভালো করে ফেলুন। চলুন জেনে নেই মন ভালো করার কয়েকটি উপায়-
১. মন ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হাসি। শত মন খারাপেও এক চিলতে হাসি সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন,
শুধু মন নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে হাসি৷ এছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. শরীরচর্চাও আপনার মন ভালো রাখতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অ্যান্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়;
যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতেও সাহায্য করে।
৩। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ নিয়ে কয়েক মিনিট রোদে বা জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। এতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন দডিদ পাবে। সূর্যালোকে এমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে,
যা মানসিকভাবে সুস্থ রাখে।
৪. মন ভাল করার জন্য কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুন। নিজেকে কাজের মধ্যে এতটায় ব্যস্ত রাখুন যেন আপনি উল্টোপাল্টা ভাবার সময় না পান। জানেন তো- যখন আপনার কোন কাজ থাকে না, আপনার মন এদিক-ওদিক থেকে শুধু তথ্য খুঁজে বেড়ায়? আর আপনি যদি দরজাতে পাহারা না দেন এবং সেই দরজা সবসময় খুলে রাখেন তাহলে তো সবাই ঢুকে পড়বে। তাই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থেকে মনের দরজাকে বন্ধ রাখুন।
৫. হঠাৎ কোনো কারণে মন খারাপ হলে গান শুনুন। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার মিউজিকের তালে চাইলে একটু নাচতেও পারেন। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। মনে পড়তে পারে সুখের কোনো স্মৃতি। গবেষণায় দেখা গেছে,
গান মন ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
৬. অ্যালবামে রাখা পুরোনো ছবিগুলো নেড়েচেড়ে দেখুন। এটি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মন ভালো করে দেবে। পুরোনো ছবির পেছনের গল্প যখন আপনার মনে পড়বে তখন পালিয়ে যেতে পারে সব দুঃখ।
৭। কিছুটা সময় শুধু নিজের জন্য কাটান। এই সময়ে আপনি চুপচাপ ঈশ্বরের সামনে বসে কিছু ইচ্ছা নিবেদন করুন,
কিংবা সারাদিনে কি কি শিখেছেন তাই ভাবুন।আর ভাবুন –আপনি আগামীকাল কি করে আজকের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।
৮। নিজেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী বানান। সবসময় নিজের সাথে নিজের তুলনা করুন। গতকাল আপনি যে যে কাজ যেভাবে করেছিলেন,
আজ যেন তার চেয়ে ভালো কিছু করতে পারেন। এইদিকে ফোকাস রাখুন। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।