ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২১, ০৩:২১ পিএম
দিল্লিজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের রাজধানী দিল্লির যন্তরমন্তর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানেই আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) থেকে প্রতীকী পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
গত বছর জুন মাস থেকে কৃষি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন দেশের এক বিপুল অংশের কৃষক। তাদের দাবি ছিল, সরকার কৃষি আইনে সংশোধন করে পুঁজিপতিদের লাভের ব্যবস্থা করছে, কিন্তু কৃষকদের উপকারের কথা ভাবা হচ্ছে না। বস্তুত ওই আইন এলে কৃষকরা প্রভূত সমস্যায় পড়বেন বলে অভিযোগ তাদের।
গত নভেম্বরের শেষ দিকে দিল্লি ঘেরাওয়ের ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলো। তখন থেকে দিল্লির সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। গত ২৬ জানুয়ারি- ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দিল্লি উত্তালও হয়ে উঠেছিল। তারপরেও অবস্থান তোলেননি কৃষকরা।
ভারতীয় পার্লামেন্টে বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে ফের বিক্ষোভের পরিকল্পনা শুরু করেন কৃষকরা। স্থির হয়, পার্লামেন্ট চলাকালীন প্রতীকী পার্লামেন্টের আয়োজন করবেন কৃষকরা। সেখানে স্পিকার থাকবেন, সরকারপক্ষ ও বিরোধীপক্ষ থাকবে। কৃষি আইনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
প্রাথমিকভাবে দিল্লির প্রশাসন ও পুলিশ কৃষকদের অনুমতি দেয়নি। এরপর দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রশাসন মেনে নিতে বাধ্য হয়। স্থির হয় ২০৬ জন কৃষক একদিনে একসাথে যন্তরমন্তরের প্রতীকী পার্লামেন্টে যোগ দিতে পারবেন। সেই মতো আজ সকালে বাসবোঝাই কৃষক দিল্লির সীমান্ত থেকে যন্তরমন্তরের দিকে রওনা হন। কিন্তু মাঝরাস্তায় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। প্রথমে তাদের একটি রিসোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের সংখ্যা গণনা করে পুলিশ। এরপর যন্তরমন্তরের দিকে ফের রওনা হন কৃষক নেতারা।
কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পার্লামেন্ট অধিবেশন চালাতে হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিতর্ক করতে হয়, প্রতীকী পার্লামেন্টে তারা তা দেখাবেন। আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কৃষক পার্লামেন্ট চলবে।
কৃষকদের প্রতীকী পার্লামেন্ট চালানোর অনুমতি দিলেও দিল্লিজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। সাতটি মেট্রো স্টেশনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
কৃষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে তারা এই প্রতীকী পার্লামেন্টের আয়োজন করবেন। গোলমাল এড়িয়ে চলা হবে। তবে গত ২৬ জানুয়ারি কৃষক আন্দোলন ঘিরে দিল্লিতে যে উত্তাপ ছড়িয়েছিল, সে কথা মাথায় রেখে সতর্ক প্রশাসন। -ডয়চে ভেলে