শততম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২১, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২১, ০৮:১৮ পিএম

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি দলটি আগের দুই ফরম্যাটের থেকে আলাদা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার মাঠে নামে দুই দল। যেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সামনে ১৫৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এতে দুই উইকেট হারিয়ে আট উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। 

জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে (৫০) রান করে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ে সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও (১৫) রান করে রান আউট হয়। এর পর নুরুল হাসান সোহানকে (১৬) নিয়ে খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়ে নাইম শেখ (৬৩)। 

২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিলো জিম্বাবুয়ে। আজ (২২ জুলাই) এই ফরম্যাটে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রতিপক্ষ সেই জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসের মতো এই ম্যাচেও জয়ের স্বাদ এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের শততম ম্যাচটি জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ দল।

এই ১০০ ম্যাচের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১২টি করে খেলেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ভারত আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছে ১১টি করে ম্যাচ। ১০টি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬টি করে। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া নেদারল্যান্ডের, ওমান, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, স্কটল্যান্ড ও হংকংয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, প্রথম ১০ ওভার ও এর পরের অংশ। প্রথম ১০ ওভারে ওপেনার রেগিস চাকাভার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯১ রান জমা করে জিম্বাবুয়ে। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলেই চাকাভা রান আউট হলে পাল্টে যায় চিত্র। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের আর খোলস ছেড়ে বের হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরিয়েছেন সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্লদের। এতে অলআউট হওয়ার আগে আর মাত্র ৬২ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। তাদের ইনিংস থামে ১৫২ রানে।

বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন টাইগার পেসাররা। ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শরিফুল ২ উইকেট নিতে ৩ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৭। পেসারদের দিনে খালি হাতে থাকেননি সৌম্য সরকারও। ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। বাকি১ উইকেট স্পিনার সাকিব আল হাসানের। 

হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামা সিকান্দার রাজার দলের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজের আঘাতে ফিরে যান স্বাগতিক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার রেগিস চাকাভা। ওয়েসলি মাধেভেরেকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৮ বলে জমা করেন ৬৪ রান।

সাকিব আল হাসাসের বলে ২৩ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হন মাধেভেরে। এতে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। সঙ্গীকে হারিয়ে নিজের ইনিংসটি আর বড় করতে পারেননি চাকাভা। তাকে দুর্দান্ত এক রান আউটে ফেরান নুরুল হাসান সোহান। প্রায় সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টিতে জায়গা পেয়েছেন সোহান। সেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। চকাভা আউট হন ২২ বলে ৪৩ রান করে। যেখানে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।

১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯১ রান তোলা জিম্বাবুয়ে চাকাভার উইকেট হারানোর পর খেই হারিসে বসে। শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। একে একে সিকান্দার রাজা (০),  তারিসাই মুসাকান্দা (৬) ও ডিওন মেয়ার্স (৩৫) আউট হলে স্কোর বোর্ডে বড় রান তোলার স্বপ্নে ভাটা পড়ে জিম্বাবুয়ের।

১৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২০ রান। এরপর আর কোনও ব্যাটসম্যান বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হলে ১৯তম ওভারে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। অলআউট হওয়ার আগে কোনরকমে দেড়শ ছাড়ায় তারা। ১৫২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে প্রয়োজন ১৫৩ রান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh