বাংলাবাজার ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২১, ১১:৫৭ পিএম

বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথে তৈরি হয়েছে যানবাহনের লাইন

বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথে তৈরি হয়েছে যানবাহনের লাইন

আগামীকাল সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ। তাই শেষ মুহূর্তে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে করে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে এ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথে তৈরি হয়েছে যানবাহনের লাইন। নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি সকাল থেকে চলাচল করছে। তবে স্রোতের তীব্রতার কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে ঘাটে ভিড়তে। এতে করে চাহিদা মতো যানবাহন পার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘতর হচ্ছে যানবাহনের লাইন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে বাংলাবাজার ঘাটে। মূলত ঈদ এবং ঈদের আগের কঠোর বিধিনিষেধের পূর্বে যারা বাড়ি ফিরেছিলেন তারা এবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরতে শুরু করেছেন। একযোগে যাত্রীদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকায় চাপ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ফেরিতে দ্বিগুণ সময় লাগায় ফেরির ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে। এতে করে পর্যাপ্ত পরিবহনও পার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষারত যানবাহনের সংখ্যা প্রয়োজন অনুযায়ী কমছে না।

ঢাকাগামী যাত্রী মানিক মিয়া বলেন, ‘রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। ঘাটে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই রাস্তা আটকে আছে গাড়িতে। আমাদের মোটরসাইকেল কোনোমতে ঘাটে প্রবেশ করতে পেরেছে। তারপরও এক ঘণ্টা লেগে গেছে ফেরিতে উঠতে।’

ঢাকাগামী যাত্রী মতিন বলেন, ‘ভোর থেকে লকডাউন। আজকেই ফিরতে হবে। বিকেলে ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি।’

আরেক যাত্রী মো. আরিফুল ইলসাম বলেন, ‘ভোর থেকে কোনো যাত্রী পার করবে না। আজকেই যেতে হবে। এই চিন্তা থেকেই লোকজন সব ঘাটে আসছে। এ কারণে এতো ভিড়, যানজট।’

বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘাটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনের সংখ্যা বেশি। তবে ফেরিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh