ফের প্রণোদনা চাইবে বিকেএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২১, ১১:৩৪ পিএম | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২১, ১১:৩৫ পিএম

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের প্রণোদনা সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করবে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানের লেখা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। গত শনিবার সভাপতির স্বাক্ষরিত চিঠিটি সংগঠনের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের পর শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে কারখানা বন্ধ রাখতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানিয়ে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে আমরা যে কঠিন সময় পার করছি, সে বিষয়ে সরকার অবগত। চলতি বিধিনিষেধ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করা হবে। তার বিশ্বাস, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত বাড়াবেন।

চিঠিতে বিকেএমইএ সভাপতি লেখেন, মহামারি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ১৪ দিনের এই বিধিনিষেধে রপ্তানি পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটবে তা ঠিক, কিন্তু ভবিষ্যতে করোনামুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এ সময় তৃতীয় পক্ষের পরামর্শ না নিয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিনিষেধ মেনে চলতে কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

করোনার কারণে গত বছরের মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাসের মজুরি দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ওই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকরা আরও এক মাসের মজুরি দেওয়ার জন্য ঋণ দাবি করেন। সরকার তা-ও মেনে নেয়।

গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোরতম লকডাউনে পোশাকসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ আছে, যদিও কারখানা খোলা রাখতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএসহ পাঁচ সংগঠন চেষ্টা করেছে। তবে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা আশা করছেন, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার বিষয়ে বিবেচনা করবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh