হাসপাতালের ৯০ শতাংশ বেডে রোগী আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ০২:০০ পিএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে হাসপাতালের ৯০ শতাংশ বেডে রোগী রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। 

আজ সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রঅ বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে করোনা চিকিৎসায় এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। যা আগামী শনিবার চালু করা হবে। এখন আর তেমন ভবনও নেই যে হাসপাতাল চালু করবো। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত। দেড় বছর তো হলো। আবার নতুন করে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।

ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ডে যেসব বয়স্ক লোক আছে, তাদেরকে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা। তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন না নেয়ার অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকরাই আছেন ৭৫ শতাংশ, ঢাকা শহরেও। তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।  

মন্ত্রী বলেন, যারা ফ্রন্টলাইনার আর্মি, পুলিশ, সাংবাদিকরা টিকা পেয়েছেন। কিন্তু যারা এখনো পাননি তাদেরও দিতে বলা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস‌্যদের ভ‌্যাকসিনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। পরিবারে যদি কোনো ড্রাইভার থাকে তাকেও দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়স তারা এই ভ্যাকসিনটা পাবে।

তিনি বলেন, ২১ কোটি ভ্যাকসিন ১৪ কোটি মানুষকে দেয়া যাবে, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ মানুষ। আমরা চাই সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে। ২১ কোটি ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১ কোটি করে ধরলে ২১ মাস সময় লাগার কথা। তবে আমরা চাই আরো কম সময়ে দেয়ার জন্য। 

সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন পালনে অনেকের অনীহা। আগে জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর অর্থনীতি। এ কারণে লকডাউন মানতে হবে। ভ‌্যাকসিন নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। লকডাউনের চতুর্থ দিনে যেখাবে গাড়ি চলছে তাতে আমরা দুঃখিত। যারা বাইরে বের হচ্ছে তারা নিজেদের ক্ষতি করছে।’

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট বুক হয়ে গেছে, রোগী আছে সেখানে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh