ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিশ্র ডোজে ৬ গুণ অ্যান্টিবডি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ০৬:৫৪ পিএম

প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ এবং পরে ফাইজারের আরেক ডোজ টিকা নিলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির স্তর বাড়ে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজের তুলনায় এই মিশ্র ডোজে অ্যান্টিবডি ছয়গুণ বাড়ে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার এই গবেষণায় ৪৯৯ জন মেডিকেল কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১০০ জনকে মিশ্র ডোজ এবং ২০০ জনকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া হয়। এছাড়া অন্যদের শরীরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ প্রয়োগ করা হয়।

গবেষণায় অংশ নেয়া সবার শরীরে করোনা নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্ডিবডি দেখা গেছে, যা এই ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ এবং প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয়। মিশ্র ডোজ নেয়া মেডিকেল কর্মীদের শরীরেও ফাইজারের দুই ডোজ নেয়াদের মতোই প্রায় একই পরিমাণ অ্যান্টিবডি দেখা গেছে।

কোরীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষণায় করোনাভাইরাসের প্রধান উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে টিকার মিশ্র ডোজ প্রয়োগে তৈরি হওয়া নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডির কার্যক্রমও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

কেডিসিএ বলেছে, গবেষণায় অংশ নেয়া কোনো গ্রুপের শরীরেই ব্রিটেনে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়কারী কার্যক্রম হ্রাস পায়নি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং ভারতে শনাক্ত হওয়া যথাক্রমে বেটা, গামা এবং ডেল্টার বিরুদ্ধে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিশ্র ডোজে আড়াই থেকে ৬ গুণ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি পায়।

করোনাভাইরাসের টিকার মিশ্র ডোজ নিয়ে গত মাসে ব্রিটেনের এক গবেষণাতেও প্রায় একই ধরনের ফল দেখা যায়। ব্রিটিশ গবেষকরা সেই সময় জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজের পর ফাইজারের ডোজ প্রয়োগ করা হলে তা সবচেয়ে ভালো টি-সেল প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং ফাইজারের এক ডোজের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার অপর ডোজে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে উচ্চতর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh