ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ বিলে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ১০:১৫ পিএম

জুলাই মাসের বিল করতে গেলে গ্রামবাসীরা মিটার রিডার রঞ্জন কুমারকে  আটকে রাখেন।

জুলাই মাসের বিল করতে গেলে গ্রামবাসীরা মিটার রিডার রঞ্জন কুমারকে আটকে রাখেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের বিল করায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৬ জুলাই) জুলাই মাসের বিল করতে গেলে গ্রামবাসীরা মিটার রিডার রঞ্জন কুমারকে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন।

পরে কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ইকবাল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটার রিডারকে উদ্ধার করেন। 

সোমবার সকালে উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় মিটারের রিডিং লিখতে গেলে তাকে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। মিটার রিডার রঞ্জন কুমার বিদ্যুৎ বিলের গড়মিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, মিটার থেকে একরকম লিখে নিয়ে গেছে কিন্তু বিল এসেছে বেশি ইউনিটের। বারইপাড়া এলাকার ২০৫ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে অনিয়ম করা হয়েছে।

বারইপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, জুন মাসে মিটার রিডিং থেকে ৪৪৭৫ ইউনিট লিখে নিয়ে যায় মিটার রিডার রঞ্জন কুমার। কিন্তু বিলে ৪৫১৫ ইউনিট উল্লেখ করা হয়। এই ৪০ ইউনিট বেশি করে বিলের কাগজ দেয়া হয়েছে। প্রায় ২০৫ জন গ্রাহকের সবারই এমন হয়েছে। 

বারইপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন জানান, মসজিদের মিটার থেকে ৬৩০ ইউনিট লিখে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিল আসে ৬৫০ ইউনিটের। এভাবে অনেক মানুষের বেশি টাকা গুনতে হয়েছে।

মিটার রিডার রঞ্জন কুমার জানান, তিনি তার রেজিস্টারে মিটারের ইউনিট লিখে নিয়ে বিল প্রস্তুতকারীর কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু বিলে কেন বেশি করা হলো সেটি তিনি জানেন না। 

কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিল প্রস্তুতকারী শাহানাজ খাতুন ভুল স্বীকার করে জানান, মিটার রিডার রঞ্জন কুমার জুন মাসে মিটার রিড করতে যাননি। তিনি নিজের ইচ্ছামত বিল করে দিয়েছেন। 

কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. কামরুজ্জামান জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রামবাসীরা অফিসে এসেছিল। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh