জামালপুরের বকশীগঞ্জে কথিত প্রেমিকের সহযোগিতায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বকশীগঞ্জ লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে কথিত প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই স্কুলছাত্রী।
গ্রেফতাররা হলেন—কথিত প্রেমিক কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গা গ্রামের রফিকুলের ছেলে হোসাইন শান্ত, আজিজুলের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও অজিমানের ছেলে আঙ্গুর আলম; বকশীগঞ্জের লাউচাপড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে আজাদ ও পলাশতালা গ্রামের হাম্বুর ছেলে হিটলার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশাচালক হোসাইন শান্তর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীর প্রেম হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কথিত প্রেমিক ভুক্তভোগীকে জামালপুরের বকশীগঞ্জের লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে বেড়াতে নিয়ে যান।
বিধিনিষেধের কারণে পিকনিক স্পট বন্ধ থাকায় শান্ত ও তার ৪ বন্ধু মেয়েটিকে পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যান। দুর্গম পাহাড়ে মানুষের উপস্থিতি না থাকায় একে একে ৫ বন্ধু মিলে পর্যায়ক্রমে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। পরে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার ও কথিত প্রেমিকসহ ৫ জনকে আটক করে। রাতেই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় হোসাইন শান্তকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর-৩২) দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
এরমধ্যে গ্রেফতার ৫ জনকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ ও ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।