কর্মস্থলে থাকা শ্রমিক দিয়ে চলবে শিল্প-কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২১, ০৭:৪৩ পিএম

পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকার কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা কর্মস্থলে (কারখানা এলাকায়) থাকা শ্রমিকদের দিয়েই চলবে কাজ। তবে বিধিনিষেধ শিথিল হলে গ্রামে থাকা শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসার পরে পুরোদমে কারখানা চলবে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

এর আগে, এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রবিবার) সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

গত ২৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত দেশের রফতানিখাতসহ সব উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়ার দাবি জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। 

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, করোনায় বিধিনিষেধের আওতায় সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণশক্তি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, আগামীতে পণ্য-সামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হবেন। পাশাপাশি রফতানি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সময়মতো পরবর্তী রফতানি অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে না। এতে রফতানি অর্ডার বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

করোনা মহামারি রোধে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলাকালে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার কথা ছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh