ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫৪ এএম
বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সিলেটের প্রায় ১০টি হাসপাতালে ঘুরে কোনো শয্যা না পেয়ে শেষে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন মৌলভীবাজারের বড়লেখার লালচান বিবি (৭২)।
শ্বাসকষ্ট ও জ্বরসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল তার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভর্তির তিন ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চান বিবি।
জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডের ১০টি শয্যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত খালি পড়ে ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সেই শয্যাগুলো পূর্ণ হয়েছে। ১০ শয্যার সব কয়টিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ইসহাক আজাদ বলেন, ওই বৃদ্ধাসহ ১০ জন করোনা রোগী হাসপাতালের নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লাল চান বিবির শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রকট। তাছাড়া শারীরিক অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। তাকে আমরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু তিনি ভর্তির তিন ঘণ্টা পর মারা যান।
তিনি বলেন, বৃদ্ধার স্বজনরা জানিয়েছেন সিলেটের ১০টি হাসপাতালে তাকে নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। কিন্তু কোথাও শয্যা না পেয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হচ্ছিল।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, আমাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা রয়েছে। এরই মধ্যে সবগুলো শয্যায় ভর্তিরত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। যদিও আমাদের হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড নয়, তবুও বৃদ্ধা লাল চান বিবির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আমরা ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। কিন্তু তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকালেই মারা গেছেন। এর আগে আমরা তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছি। - ইউএনবি