সাধারণত দাঁত ব্রাশ করা দিয়েই আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয়। অনেকেই ভাবেন দাঁত ব্রাশ করা তো কত সহজ। অথচ অনেকেই হয়তো জানেন না দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন। অনেকেরই ধারণা, প্রতিবার খাওয়ার পরই দাঁত ব্রাশ করা উচিত। এতে দাঁত ভালো থাকবে। প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দাঁত মাজলে উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়। দিনে অন্তত দু’বার ব্রাশ করা যেতেই পারে। এ নিয়ম মেনে চলতে পারলে মাড়ি আর দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
চলুন তাহলে জেনে নিই দাঁত ব্রাশ করার সময় কী কী ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে-
- সর্বপ্রথম ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।
- পরিমাণ মতো পেস্ট নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
- দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে একই সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
- তিন মাস পরপর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
- সকালে ও রাতে খাওয়ার পর মোট এই দুবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। তবে খাবার খাওয়া ও দাঁত ব্রাশ করার মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিটের বিরতি রাখতেই হবে। এতে অ্যাসিডের মাত্রা কমে আসবে অনেকটাই।
- বেশি জোর দিয়ে ও অতিরিক্ত দাঁত ব্রাশ করার ফলে দাঁতের এনামেল এবং মাড়ির ক্ষতি হয়। তা ছাড়া টুথব্রাশের ব্রিসেলস যদি বেশি শক্ত হয়, তাতে দাঁত ও মাড়ি কেটে যেতে পারে।
- সবার মাউথওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যদি দাঁতে বা মাড়িতে শিরশিরানি, রক্ত পড়া বা মুখে দুর্গন্ধের মতো সমস্যা হয়, তা হলে ডাক্তার দেখিয়ে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তেমন কোনো প্রয়োজন না থাকলে, ঝকঝকে সাদা দাঁতের মালিক হওয়ার জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না।
- তবে দাঁত ব্রাশ করার পরপরই মাউথওয়াশ ব্যবহার খারাপ অভ্যাস। কারণ এর ফলে দাঁতে লেগে থাকা টুথপেস্টর ফ্লোরাইড ধুয়ে যায়। আবার মাউথওয়াশ ব্যবহারের ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া ঠিক না।
- টক জাতীয় খাবার খাওয়ার সাথে সাথে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন। তবে চকলেট কিংবা মিষ্টি জাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।