লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ১১:৪৬ এএম

ভোলার লঞ্চঘাট। ছবি : সংগৃহীত

ভোলার লঞ্চঘাট। ছবি : সংগৃহীত

তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এ ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, লোকজন গাদাগাদি করে পদ্মা পার হচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই।

গতকাল শনিবার (৩১) রাতে এ ঘাট দিয়ে আটটি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হয় বলে কর্তপক্ষ জানায়। 

আজ রবিবারও (১ আগস্ট) শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখো যাত্রী ও গাড়ির চাপ দেখা গেছে। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন। জনপ্রতি ৭০ টাকার ভাড়া আদায় করা হচ্ছ ১২০ টাকা।

অপরদিকে সীমিত সময়ের জন্য লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আজ সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। অন্যদিকে শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় লোকজন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে; স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। শতভাগ আসন শুধু নয় দ্বিগুণেরও বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, ৮৭ লঞ্চের মধ্যে চলছে ১৫ টি। স্টাফ ছুটিতে থাকায় বাকি লঞ্চ চালু করা যাচ্ছে না।

বিআইডবব্লিটিসির সহকারী ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান জানান, বহরে ১৮ ফেরির মধ্যে চলছে আটটি ফেরি। তবে পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় পরাপারে সময় লাগছে বেশি।

অপরদিকে ভোলার লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। 

আজ সকাল ৮টা থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট, ভোলা নদীবন্দর (খেয়া ঘাট) এবং চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পাঁচটি লঞ্চ। এ ছাড়া ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাটের উদ্দেশে দুটি সিট্রাক ও দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই এসব লঞ্চ গন্তব্য ছেড়ে যাচ্ছে। একদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদিকে বাড়তি ভাড়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। 

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও লঞ্চের সংখ্যা কম রয়েছে। ফলে অনেক যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার ঘাটে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘাটে অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘাট থেকে প্রত্যেকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh