ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ১২:০০ পিএম
চীনা এক নাগরিকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফাইল ছবি
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দেশটির কর্মকর্তারা সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য করোনার ডেল্টা ধরনকে দায়ী করেছেন।
দেশটির ১৪টি প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে জুলাই মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২৮ জনের মধ্যে, যা ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শনাক্ত সংখ্যার সমান।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেছেন, বর্তমানে সংক্রমণের প্রধান ধরণই হলো ডেল্টা। এটি ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালে করোনা ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে। চীন খুবই সাফল্যের সাথে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। কিন্তু নতুন ধরনের এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশটিকে এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং বিমানবন্দর থেকে ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ওই প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
তবে তীব্র সংক্রামক ডেল্টা ধরণের পাশাপাশি চীনে পর্যটন মৌসুম হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
গতকাল শনিবার (৩১ জুলাই) নতুন করে আরো দুই প্রদেশে সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। প্রদেশ দুটি হলো- ফুজিয়ান ও শানজি।
চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ভাইরাসবিদ ফেং জিজিয়ান বলেছেন, ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে কোভিড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমানের এই ভ্যাকসিন এখনো ডেল্টার বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী।
এদিকে চীনে দেশজুড়ে এ পর্যন্ত এক কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আশা করছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৮০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় নেয়া হবে। -এএফপি