অপরিকল্পিত লকডাউনে জনগণের ভোগান্তি চরমে: বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২১, ০১:৩১ পিএম

বিএনপির লোগো

বিএনপির লোগো

অপরিকল্পিত লকডাউনে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিএনপি ইতি পূর্বে অনেক বারই বলেছে যে, দিন আনে দিন খায় মানুষ, প্রান্তিক মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক, মাঝি, রিক্সা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিকসহ সকর প্রকার নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা ব্যতীত লকডাউন কখনই কার্যকর হবে না। 

শনিবার (৩১ জুলাই) বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ মন্তব্য করা হয়।

সভায় করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। 

সভায় বলা হয়, দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে কিন্তু সরকারের নীতি ও অব্যপস্থাপনার কারণে বেশিরভাগ আক্রান্ত মানুষ টেস্ট করতে পারছেনা। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হচ্ছে যার ফলে দেশের মানুষের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। 

অন্যদিকে সংক্রমিত ব্যক্তিরা হাসপাতালে কোন বেড পাচ্ছে না। অক্সিজেন পাচ্ছে না। করোনা সংক্রান্ত জটিল রোগী ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ অক্সিজেন আইসিইউ বেড পাচ্ছে না। ঢাকার বাইরের জেলা গুলো থেকে করোনা সংক্রমিত রোগীরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মৃত্যু বরণ করছে। জেলা হাসপাতাল গুলোতে পরিস্থিতি উন্নত করবার কোনো প্রচেষ্টা সরকারের নেই বলেও জানানো হয়। 

অন্যদিকে ঢাকায় কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল গুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। সরকার উদ্দেশ্য মূলক ভাবে সংক্রমণের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত অবস্থার চিত্র না দিয়ে জনগণকে প্রতারণা করবার জন্য অসত্য তথ্য দিচ্ছে। হাসপাতালে সংবাদ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা নিষেধ আরোপ করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট মামলার ভয়ে সংবাদ কর্মীগণ প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না।

সকল নাগরিককে টীকা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টীকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ সরকার এখন পর্যন্ত জনগণের সামনে দিতে পারেনি। সরকার অবলীলায় জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করছে। একদিকে সরকার বলছে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে অথচ গত ৭ মাসেও ৬০ লাখ টিকা দিতে পারেনি। টিকা প্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সরকার, যা জনগণের সাথে প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয়। প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা প্রদানের জন্য টিকা প্রাপ্তির উৎস সরকার এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই সব উক্তি এখন হাস্যকর বলে মন্তব্য করে দলটি। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh