লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ০৫:২৬ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে আলোচিত জলিল হত্যা মামলার ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১১ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। রবিবার (১আগস্ট) দুপুরে শহরের সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
গত ২২ জুলাই রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক প্রতিবেশী গোলাম রব্বানী।
মরদেহ উত্তোলন শেষে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতেই স্ত্রী মমিনা ও পরকিয়া প্রেমিক রব্বানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। লাশ উত্তোলন বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তদন্তেরই একটি আইনি প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের মৃত্য হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশীদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। ২৪ জুলাই বিকেলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জলিলে বড় ভাই আব্দুর রশিদ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই রাতে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্ত্রী মমিনা ও পরকীয়া প্রেমিক রব্বানীসহ আরো দুইজনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্ত্রী মমিনা ও পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী জলিলকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। তাদের দু'জনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলেও তারা পুলিশকে জানা। পরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামান স্ত্রী মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। এ হত্যাকাণ্ডে বাকী দুইজন জড়িত না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে মমিনা ও রব্বানীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।