নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২১, ০৭:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জ গার্মেন্টসগুলোতে মুখে মাস্ক পরে এলেই শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ দিচ্ছে কারাখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে শ্রমিকরা কারাখানায় প্রবেশের আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা চেক করা, মুখে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক দিয়ে জুতা স্যান্ডেল পরিষ্কার করে লাইন ধরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। কিছু শ্রমিক মাস্ক ছাড়া কারখানার গেইটে আসেন তাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
গার্মেন্টস মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ার প্রথম দিনেই নারায়ণগঞ্জে ছিলো শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড়। রোববার সকাল থেকে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে, অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করছেন।
হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেয়া এবং যানবাহন চালুর বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত হওয়ায় বেশিরভাগ শ্রমিককেই বিকল্প পরিবহনে করে কাজে আসতে হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ সরকার গার্মেন্টস খোলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দিন আগে। কিন্তু শ্রমিকরা কীভাবে আসবে এবং গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছে শনিবার বিকেলে। যে কারণে শ্রমিকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। গণপরিবহন চালু করা হলে নির্ধারিত ভাড়ার তিন-চারগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
জামালপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন হাসিনা বেগম, শাহানারা, আছিয়া আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাদের অভিযোগ পরিবহনের চালকরা তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫০০ টাকা করে ভাড়া নিয়েছে। তারা বলেন, আট হাজার টাকা বেতনে কাজ করে ১৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে যদি কাজে যোগ দিতে হয় তাহলে আমাদের মতো গরিবের সংসার চালানো খুবই কষ্টের।
জানা যায়, অনেকে সারারাত ট্রাক ও বাসে চড়ে নারায়ণগঞ্জে এসে সকালে সকাল আটা থেকে সাড়ে আটটায় নারায়ণগঞ্জে নেমেছেন। কোন রকমের ব্যাগ বা লাকেজ বাসায় রেখেই চলে আসেন কাজে।
নারায়ণগঞ্জের মডেল গার্মেন্টেস (এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ) ভূমি ও উন্নয়ন মনিরুজ্জামান জানান, প্রথম দিন হওয়ায় সকাল থেকে শ্রমিকরা আসছে। আমরা সকাল ১১টা বা ১২টা পর্যন্ত যে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে আসছে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। কারণ শ্রমিকরা দূর থেকে আসছে বলে আমার কড়াকড়ি করছি না। শ্রমিকদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমার নিশ্চিত করছি।
তিনি বলেন, প্রতিটি শ্রমিককে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও শরীরের তাপমাত্র মেপে এবং জুতা স্যান্ডল জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। বাইরে থেকে শ্রমিকরা কারখানার ভেতের অনেক নিরাপদে কাজ করছে।
বিকেএমএইর সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫ হাজারের বেশি গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ২০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে। প্রথম দিনে অর্ধেকের বেশি শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিকে শ্রমিকরা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। তাদের যেন দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়া হয় সেই দাবি জানান।